উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে পানছড়িতে

fec-image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা পরিষদে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৭৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

আজ বুধবার এ ধাপের একীভূত ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য মিলেছে। ৮ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ।

বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, মঙ্গলবার ১৫৬টি উপজেলায় নির্বাচন হলেও ৪ টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বাকি দুটোর ফলাফল এখনো একীভূত করা না যাওয়ায় ১৫০টি উপজেলার ফলাফল সমন্বয় করা হয়েছে।

ইসির প্রস্তুত করা ফলাফল শিটে দেখা যায়, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ৬৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ, কাহারোলে ৬২ দশমিক ২৪ শতাংশ, নওগাঁর পোরশায় ৬৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বাগেরহাটের ফকিরহাটে ৬২ দশমিক ৬০ শতাংশ, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ৬১ দশমিক ৮১ শতাংশ। পক্ষান্তরে কম ভোট পড়ার মধ্যে পাবনার চাটমোহরে ১৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যশোরের শার্শায় ১৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ, চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে ১৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, নোয়াখালীর সেনবাগে ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, রাজবাড়ি সদরে ২০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

দ্বিতীয় ধাপের ভোট শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়তে পারে। তবে ৩০ শতাংশ ভোটকে কখনোই উৎসাহব্যঞ্জক নয়। স্বল্প ভোট পড়ার একটা বড় প্রধানতম কারণ হিসেবে দেশের একটা বড় রাজনৈতিক দল; তারা প্রকাশ্যে এবং ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে। জনগণকে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভোট নিয়ে কোনো সংকট নেই। সংকট হচ্ছে রাজনৈতিক। রাজনীতি যদি আরও সুষ্ঠু ধারায় প্রবাহিত হয়, ভবিষ্যতে হয়তো ভোটের যে স্বল্পতার সমস্যা; এগুলো কাটিয়ে উঠবে। ভোটাররা উৎসাহিত হবে। ভোট আরও উৎসাহব্যাঞ্জক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।’

উল্লেখ্য, দেশের ৪৯৫টি উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে। ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পানছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন