উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎকারীদের নামে নতুন সমিতির অনুমোদনের অভিযোগ


সংগঠনের সদস্য এবং ঋণ খেলাপীদের নামে উপজেলা সমবায় কার্যালয় কর্তৃক নতুন করে সমিতি অনুমোদন দেয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাঙ্গামাটি করাত কল ও কাঠ পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ। ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলাকালীন সময়ে নতুন কমিটি অনুমোদনের কারণে শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে সমিতির কাঠালতলীস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ করেছেন। সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গামাটি করাত কল ও কাঠ পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মমতাজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রবিন বিশ্বাসসহ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাঙ্গামাটি করাত কল ও কাঠ পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ ১৯৯২ তারিখ সরকারি রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয় এবং রাঙ্গামাটিতে সকল স’মিল এবং কাঠ পরিবহন কাজে নিয়োজিত সকল শ্রমিকসহ এক হাজার সদস্য রয়েছে। সকলের সমন্বয়ে দীর্ঘ বছর প্রতিষ্ঠান চললেও বিগত সময়ে নির্বাহী কমিটির কিছু সদস্য অর্থ আত্মসাৎসহ অনেকে ঋণ খেলাপী হন ৩৮ লক্ষ টাকা যা বিভাগীয় তদন্তও চলছে। বর্তমান কার্যকরি কমিটির সভায় সংগঠনের কোন সদস্য নতুন করে সংগঠন না করার প্রতিশ্রুতিসহ সভার রেজুলেশনও অনুমোদন হয়। কিন্তু এর পরও সমিতির ঋণ খেলাপী সাবেক সভাপতি নুরুল আলম এবং তাঁর গংদের নিয়ে ‘স’মিল মিস্ত্রি হেলপার সমযায় সমিতি লিঃ’ নামে নতুন সংগঠনের অনুমোদন নেয় যা সম্পূর্ন গঠনতন্ত্র বিরোধী।
তিনি বলেন, জেলা উপজেলা এবং বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়কে লিখিত জানানোর পরও এবং অর্থ আত্মসাৎকারী ও ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে গত ২ অক্টোবর কিভাবে আরো একটি সংগঠনের অনুমোদন দেয় তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তিনি অভিযোগ করেন, এখানে অসাধু সমবায় কর্মকর্তার প্ররোচনায় সমিতির সাবেক সভাপতি সহ ক’জন সদস্যদেরকে ‘স’মিল মিস্ত্রি হেলপার সমযায় সমিতি লিঃ’ এর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তাই যে কোন বিশৃংখলা এড়াতে সমবায় কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত সংগঠন বাতিলসহ অর্থ আত্মসাৎকারী ও ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।