parbattanews

এইচএসসিতে পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সার্বিক পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। এ সময় দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। এবার পরীক্ষা শেষের ৫৫ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ করা হলো।

আটটি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষাবোর্ড থেকে এ বছর ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। ৮টি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৭১.৮৫ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১ হাজার ৮০৭ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮.৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ২৪৩ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২.৬২ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে তিন হাজার ২৩৬ জন।

এইচএসসিতে গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৬.৬৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন।

দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য জানাবে। তবে নিজ নিজ কেন্দ্র, প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে বেলা ১টায়।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের www.dhakaeducationboard.gov.bd এবং www.educationboard.gov.bd ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ই-মেইলে কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠানের রেজাল্টশিটের সফট কপি পাঠানো হবে। বোর্ড থেকে ফলের হার্ডকপি সরবরাহ করা হবে না। পরীক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (http://www.educationboard.gov.bd) থেকে ফল জানতে পারবে।

গত ১ এপ্রিল থেকে এএইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় মে মাসের মাঝামাঝি। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৮ হাজার ৪৫১ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ জন। মোট ২ হাজার ৫৮০টি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা এবার পরীক্ষা দিয়েছে।

Exit mobile version