parbattanews

একটি কালভার্ট পাল্টে দিতে পারে গ্রামবাসীর জীবন-যাত্রার মান

এই সামান্যতম সময়ের রাস্তাটি দিয়ে বর্ষা মৌসুমে নেমে আসে চরম দূর্ভোগ

পানছড়ি-লোগাং সড়কের পাশেই কিনাধন বৈদ্য পাড়া। এটির অবস্থান ২নং চেংগী ইউপিতে। কিনাধন বৈদ্য পাড়ার বুক চিরে চন্দ্র কার্বারী পাড়া, জগদীশ চেয়ারম্যান পাড়াবাসীসহ কয়েক গ্রামের লোকের নিত্য চলাচলের একটি রাস্তা বয়ে গেছে ইন্দ্র কান্তি চাকমার বাড়ির পাশ ঘেঁষে। রাস্তাটি ধরে দু’আড়াই মিনিট সময় পথ পাড়ি দিলেই ইট সলিং সংযোগ সড়ক। প্রশাসনিক অবহেলায় এই সামান্যতম সময়ের রাস্তাটি দিয়ে বর্ষা মৌসুমে নেমে আসে চরম দূর্ভোগ। দু’মিনিটের রাস্তা পথচারীরা অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে অপচয় করছে ঘন্টার অধিক সময়।

বিশেষ করে ইন্দ্র কান্তি চাকমার বাড়ির পাশে একটি বিশালাকার ভাঙ্গন বেশী ভোগান্তি দিচ্ছে পথচারীদের। প্রতি বৃহস্পতিবারে হাজারো পথচারীর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফল-ফলাদি, শাক-সবজি ও কৃষিজাত দ্রব্যাদি নিয়ে বিপাকে পড়ে এই রাস্তায়। তাই এলাকাবাসীর দাবী অন্তত: ছোট একটি কালভার্ট নির্মাণ করে পানি নিস্কাষনের ব্যবস্থা করা হলেও শুকনো মৌসুমে কোন রকমে চলাচল করতে পারবে। পথচারীদের দাবী হাজারো পথচারীর পছন্দের এই রাস্তাটিকে আধুনিকায়ন করতে তেমন বড় প্রকল্পের প্রয়োজন লাগে না। এডিপির মাধ্যমে অল্প খরচে ইটসলিং ও কালভার্ট নির্মাণ সম্ভব বলে তাদের দাবি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিনোদ বিহারী চাকমা জানায়, এই রাস্তাটির বেহাল দশার কথা বিভিন্ন মিটিং-সেমিনারে অনেকবার বললেও জনগণের জন্য কোন সুফল আসেনি। বিদ্যালয় শিক্ষক সিদ্ধেশ্বর চাকমা জানায়, এলাকাবাসীর প্রানের দাবি এই সামান্যতম তিন-চার’শ গজের রাস্তাটি ইট সলিং ও একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হোক। এ ব্যাপারে ২নং চেংগী ইউপি চেয়ারম্যান কালা চাঁদ চাকমা জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করে এডিপি’র বরাদ্দ থেকে কালভার্টটি নির্মাণের ব্যাপারে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

Exit mobile version