parbattanews

একটি ব্রিজের অভাবে উখিয়ার দুই গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

কথা দিয়ে কথা রাখেনা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। একের পর এক ক্ষমতার বদল হলেও স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরেও এই যাতায়াতের মাধ্যমটির একমাত্র ভরসা এখনো বাঁশের সাঁকো। উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়া এবং দক্ষিণ পুকুরিয়া বাসীর দুঃখ এই সংযোগ সেতুটি।

জানা গেছে, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন আসলে বিভিন্ন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহজ-সরল লোকজনের নিকট থেকে ভোট আদায় করে থাকেন জনপ্রতিনিধিরা। পরে আর কোন খবর থাকেনা। যার কারণে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যবধি সেতুটি বঞ্চিত করছে দুই গ্রামের মানুষের সেতুবন্ধনকে।

রাজাপালং মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা জিয়া উদ্দিন বলেন, একটি সেতুর কারণে ৪/৫টি গ্রামের মানুষ দীর্ঘ দিন যাবৎ কষ্টে আছে। এছাড়াও উত্তর পুকুরিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজাপালং ফাজিল মাদ্রাসা, রাজাপালং প্রাইমারি স্কুল, এলাকার একমাত্র মহিলা মাদ্রাসা (রাজাপালং বায়তুশ শরফ জাব্বারিরা বালিকা মাদ্রাসা), উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়া কলেজ, উখিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে শুরু করে উখিয়া উপজেলার সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাতায়াতের জন্য একমাত্র মাধ্যম এই সেতুটি। সেতুটি স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরেও ৩/৪ টি বাঁশের উপর ভরসা করে দাঁড়িয়ে আছে।

তিনি আরও জানান, স্থানীয় কিছু সচেতন মানুষ নিজেদের উদ্যোগে ২টি পিলার স্থাপন করলেও অর্থের অভাবে আর বেশি কাজ করতে পারেনি। এখনো গ্রামবাসিকে বাঁশের সাঁকোর উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।

এখন সচেতন এলাকারবাসির অভিযোগ, সরকারের এতো উন্নয়ন প্রকল্পের মাঝেও রাজাপালং ২নং ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি এখনো বাঁশের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এটির ব্যর্থতা কার?

উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, সেতুটি এডিবি’র অর্থায়ানে নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। প্রস্তাবনা পাশ হয়ে গেলে, দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।

Exit mobile version