এক পশ্চিম পাকিস্তান নিয়েই বিপদে ভারত, তাহলে পূর্ব পাকিস্তান থাকলে কি হতো


এক পশ্চিম পাকিস্তান নিয়েই বিপদে ভারত, তাহলে পূর্ব পাকিস্তান থাকলে কি হতো? তারা পাকিস্তান ভাঙতে চেয়েছিলেন, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব।
তিনি বলেন, ‘ভারত মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিল, আমি মুক্তিযুদ্ধ গিয়েছিলাম, এখন কী তাদের আচরণ দেখলে মনে হয়, তারা আমাদেরকে (বাংলাদেশ) সাহায্য করতে চেয়েছিল? তাদের দরকার ছিল পাকিস্তানকে ভাঙার’।
শুক্রবার (২৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ২.০- জাতীয় নিরাপত্তা নীতিমালা প্রস্তাবনা শীর্ষক’ সেমিনারে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘দেশের সব সমস্যা তখনই সমাধান হবে, যখন আমরা সবাই সৎ হব। বিগত সরকার দেশের সকল মানুষ ও প্রতিষ্ঠান কর্তাদের সৎ থাকতে দেয়নি। নৈতিকতা হারিয়ে গেলে সেই জাতিকে ফিরে আনা কঠিন। অর্থনৈতিক কাঠামো নষ্ট হলে পরিশ্রম করে সেটি ফিরে আনা যায়। আর শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হলে আর ফেরানো সম্ভব নয়। শিক্ষার্থী নেই অনেক জায়গায় অনার্স কোর্স চালু করেছে।’
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভারত পাকিস্তানে আক্রমণ করতে সাতবার ভাবে। পাকিস্থানের আছে আধুনিক অস্ত্র, আছে সামর্থ্য। তবে আমাদের কি আছে? তবে বন্ধু খুঁজতে হবে, যে কেউ হামলা করলে তাদের চোখে আঙুল দিয়ে কথা বলবে, এমন বন্ধু দরকার। তাহলেই আমাদেরকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে দেবে ভারত।’
ভারতের বর্তমান আচরণ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ভারত মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিল, আমি মুক্তিযুদ্ধ গিয়েছিলাম, এখন কী তাদের আচরণ দেখলে মনে হয়, তারা আমাদেরকে সাহায্য করতে চেয়েছিল? তাদের দরকার ছিল পাকিস্তানকে ভাঙার। এক পশ্চিম পাকিস্তান নিয়েই বিপদে ভারত, তাহলে পূর্ব পাকিস্তান থাকলে কি হতো? তারা পাকিস্তান ভাঙতে চেয়েছিলেন, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি।
আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যারা ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম, তাদের মধ্যে কঠোর ঐক্য রাখতে হবে। ঐক্য থাকতেই হবে, কেউ চামড়া কেটে নিতে পারে, আঙ্গুল কেটে নিতে পারে, সবশেষে তারপরও আসো বন্ধু, আমাদেরকে এক জায়গায় হতে হবে। তা না হলে এই ষড়যন্ত্রের কাছে আমরা হেরে যাব।’
স্বাধীনতা যদি চাইতো, তাহলে আজকে কি এই অবস্থা হয়? ৫ তারিখে কি হয়েছিল? একটা সরকারের পরিবর্তন হয়েছে, এ দেশের সরকারের পরিবর্তন হয়েছে, তাতে ভারতের কি? ভারত সরকারের কি তাতে? ওই সরকার চলে গেছে, জনগণের সরকার আসবে। তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখবে। ভারত মনে করে আওয়ামী লীগের পতন মানে তাদের পতন হয়েছে। চিন্তা করা যায়? এই প্রেক্ষাপটে, বিজেপির সাথে কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব অথচ সব এক হয়ে গেল। আগস্টে আওয়ামী লীগের পতন হলে ভারতের কি? এখনো তারা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে।’