parbattanews

এনজিও’র কারনে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মাঝে দুরত্ব বাড়ছে: পালংখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান

মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি’র নির্যাতনের মূখে পালিয়ে আসা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের সাহায্যে সর্বপ্রথম এগিয়ে এসেছিল কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফের মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ সব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল স্থানীয়রা। কিন্তু এনজিওদের অতি রোহিঙ্গাপ্রীতির কারনে স্থানীয়দের সাথে রোহিঙ্গাদের দিন দিন দুরত্ব বাড়ছে।

সোমবার একান্ত আলাপকালে এমনটিই জানালেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রোহিঙ্গা অধ্যূষিত পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী। তিনি এ সময় আরো বলেন, এনজিওরা সব সময় রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন অপকৌশল শিখাচ্ছে। যাতে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হয়। তাই সরকারের উচিত এসব এনজিওদের প্রতি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো। অন্যথায় এনজিও গুলো তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে রোহিঙ্গারা মাধ্যমে শক্তি সঞ্চার করে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে।

২০১৭ সালের ২৫শে আগস্টের পর এদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয় সাড়ে ৭লাখের অধিক রোহিঙ্গা। বর্তমানে নতুন-পুরাতন মিলে প্রায় ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গার বসবাস উখিয়া-টেকনাফ। এসব রোহিঙ্গাদের সেবার নামে দেড় শতাধিক এনজিও-আইএনজিও কাজ করছে। প্রতিটি এনজিও-আইএনজিও স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর জন্য কিছু সহায়তা দিয়ে থাকলে তা অপ্রতূল।

এই অপ্রতূল বরাদ্দেরও বেশির ভাগ যাচ্ছে অপখাতে। এর নেপথ্যে রয়েছে এনজিও-আইএনজির কর্তা-ব্যক্তিরা। আর বিশেষ করে ক্যাম্পের অভ্যান্তরে যেসব স্থানীয় লোকজন রয়েছে তাদেরকেও উচ্ছেদ করতে রোহিঙ্গা ব্যবহার করে থাকে এনজিওরা। কারণ রোহিঙ্গাদের দিয়ে ওইসব জায়গা গুলো উদ্ধার করতে পারলে তারা বিনা পয়সায় অফিস বা অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে। যার ফলে দিন দিন স্থানীয়দের ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে রোহিঙ্গার উপর।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাদের ব্যবহারে কোন এনজিও কিছু করতে চাইলে তা কখনো ছাড় দেওয়া হবেনা। কারণ আমরা চাইনা স্থানীয় আর রোহিঙ্গাদের মাঝে দুরত্ব সৃষ্টি হউক।

Exit mobile version