parbattanews

এনজিও ‘মুক্তি’র বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ: কামারের দোকান থেকে অস্ত্র উদ্ধার

অভিযানে নেতৃত্ব দেন উখিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম

উস্কানী দিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরতে না দেয়ার পাশাপাশি এনজিওদের বিরুদ্ধে পাওয়া গেল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ।

উখিয়ার কোটবাজারে ভালুকিয়া সড়কের একটি কামারের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এসব অস্ত্রের সঠিক নাম ও পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১ টায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উখিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণের জন্য বেসরকারি এনজিও সংস্হা মুক্তি এ সব অস্ত্র তৈরী করতে দিয়েছিল বলে জানা গেছে।

এর আগে এ সব অস্ত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে স্হানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

কামার অধীর দাশ সাংবাদিকদের জানান, এনজিও মুক্তির পক্ষে প্রায় একমাস আগে ২,৬০০ পিস দেশীয় অস্ত্র তৈরির অর্ডার দেন ভালুকিয়ার বাসিন্দা সাইফুল। অর্ডার দেয়ার সময় ৩০ হাজার টাকা অগ্রীমও দেন সাইফুল।

উখিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এনজিও সংস্হা মুক্তির জন্য ভালুকিয়ার জনৈক সাইফুল এ সব অস্ত্র তৈরির অর্ডার দিয়েছিল বলে জাানা গেছে ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুক্তির কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, এ বিষয়ে আমার সাথে কোন আলাপ আলোচনা করা হয়নি। টেন্ডার করা হয়েছে কিনা? তাও জানিনা।

তিনি বলেন, গত ২২ আগস্ট যে সভা হয়েছে সেখানেও এ সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাবনা উত্থাপিত হয়নি। এমনকি আমাকে মৌখিকভাবেও এ বিষয়ে অবগত করেননি কেউ।

জানা গেছে, টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য ৬ হাজার দেশিয় অস্ত্র সরবরাহ করতে চাচ্ছিলো “মুক্তি”।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে মুক্তি সংস্থাটির সভাপতি শিবুলাল ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার কমিউনিটির পক্ষ থেকে।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোলদীঘির পশ্চিমপার এলাকার হরিদাস দেবদাসের ছেলে শিবু লাল দেবদাস (৬১) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা।

২০১৯ সালে প্রণীত ভারতের (৫২৫) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর-২৪ পরগনা জেলার বারাসাত (সদর) মহকুমার মধ্যগ্রাম থানা ও পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুনগর এলাকার (৭০০১২৯) নং ভোটার তিনি। ভোটার নম্বর ২২৪ ওয়াইসিডাব্লিউ ১৫০৩৩১৭, বাড়ি নম্বর-এন০২৬৬।

একই ভাবে তার স্ত্রী সীমা দেবদাস (৫১) এবং ছেলে অমর্ত্য দেবদাসও সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। স্ত্রীর ভোটার নম্বর-২২৫ ভিএইচএম ১৭৪৯৪৪৯, বাড়ি নম্বর-এন ০২৭৬ আর ছেলের ভোটার নম্বর-২২৩ ওয়াইসিডাব্লিউ ১৯৬৪৯৭২, বাড়ি নম্বর-এন ০৩৬১।

শিবু লালের বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) নম্বর- ১৯৫৮২২২২৪০৯৩৬৭৮৮৮। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ভোটার লিস্টে ৩৬৭৮৮৮ নম্বর ফরম মূলে তার নাম রয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার গোলদিঘীর পশ্চিমপাড় (১৩৭৭) এলাকার ১১৭ সিরিয়ালে তার ভোটার নম্বর-২২১৩৭৭৩৬৭৮৮।

Exit mobile version