এনসিটিবি থেকে রাখাল রাহার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

fec-image

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র, উপজাতীদের সংবিধান ও স্বার্বভৌমত্ব বিরোধী ‌‘আদিবাসী’ সম্বোধন, রাখাল রাহার অপসারণ, উপজাতী বিচ্ছিন্নতাবাদী দের দ্বারা ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির’ উপর পরিকল্পিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ‘চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার মজলিস’ এর ব্যানারে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে রাখাল রাহা’র অপসারন দাবী করেন বক্তারা।

রাখাল রাহা’র কারসাজিতে পাঠ্যপুস্তকের মোলাটে উপজাতীদের ‘আদিবাসী’ উল্লেখ করায় তা দেশবিরোধী ও দেশের সার্বভৌমত্বের বিরোধী এবং সংবিধান পরিপন্থী হয়েছে বলে দাবী করেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, উপজাতীদের যদি ‘আদিবাসী’ স্বীকৃত দেয়া হয় তাহলে জাতীসংঘের ‘আদিবাসী’ চার্টার অনুযায়ী নিজেরা আলাদা রাষ্ট্র গঠণ করার, সেনাবাহিনী গঠন করা, দেশি-বিদেশি আর্থিক সুবিধা, জাতিসংঘের হস্তক্ষেপসহ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী বহুবিধ অধিকার পাবে। সেই সাথে গঠন করে নিতে পারবে আলাদা রাষ্ট্র।

মূলত সে লক্ষ্যেই এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ২০০৭ সালের পর থেকে ব্যাপক ভাবে নিজেদের ‘আদিবাসী’ বলে দাবী করে আসছে। যদিও এই দেশে তাদের আগমন ২ থেকে ৩ শত বছরের বেশি নই।

মূলত মার্কিন এনজিও ও ভারতের মদদে পার্বত্য অঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা খ্রিস্টান রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার পকিল্পনা ও চক্রান্ত চলছে অনেক বছর যাবত। যেভাবে সুদান থেকে দক্ষিন সুদান , ইন্দোনেশিয়া থেকেব পূর্ব তিমুরকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা রাষ্ট্র গঠন করা হয়, ঠিক সে প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য অঞ্চলকে আলাদা করতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে মার্কিন পন্থি এনজিও এবং ভারতীয় দালল রা।

এই জন্য, উপজাতীরা ‘আদিবাসী’ না হওয়া সত্বেও, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে ‘আদিবাসী’ নামক বিষ প্রবেশ করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে তারা কেও ‘আদিবাসী’ নই।

অপরদিকে ইউরোপ আমেরিকায় প্রকৃত ‘আদিবাসী’দের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করলেও ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকি জাতিসংঘের আদিবাসী চার্টারেও সই করেনি। কেননা তা দেশের সার্বভৌমত্বের বিরোধী এবং বিতর্কিত একটি চার্টার। অথচ যাদের অস্তিত্বের ইতিহাস ২ থেকে ৩শত বৎসরের বেশি নয়, যাযাবর ও বিচ্ছিন্ন জাতি তারা কিভাবে আদিবাসী স্বীকৃত চায় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের সরলমনা শিশুদের পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে পরিচয় করানো হয় সেই প্রশ্ন রাখেন বক্তারা।

উপস্থিত বক্তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’র উপর বিচ্ছিন্নবাদী উপজাতীদের হামলার প্রতিবাদ জানান এবং এতে উস্কানীদাতা অলিক ম্রি’গংদের গ্রেফতারের দাবী জানান। এছাড়া তারা আরো বলেন, ইট মারতে গিয়ে কেউ যদি পাটকেল খায় এতে দোষ তো ইট নিক্ষেপকারী ব্যক্তির তথা সম্পূর্ণ দোষ উপজাতী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। কেননা তারা পুলিশের বেরিকেড ভেঙ্গে মারমুখো হয়ে এগিয়ে গিয়েছিল এবং এতে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এছাড়া ‘‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ যে ইস্যুতে আন্দোলন করছে তা দেশের স্বাধীনতা, অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়। তাদেরকে যারা আঘাত করেছে এবং গ্রেফতার করতে উস্কানি দিয়েছে তারাই দেশদ্রোহী ও গাদ্দার। তাদেরকেই গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে মর্মে দাবী জানান বক্তারা।

সুতরাং উপজাতীদের যারাই ‘আদিবাসী’ বলবে, এবং যে সকল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি চাইবে তাদের প্রত্যেকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার কর, উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে হবে। সেই সাথে পাঠ্যপুস্তকে সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কথিত ‘আদিবাসী’ গ্রাফিতী সংযুক্ত করার দায়ে রাখাল রাহাকে অপসারণ করতে করে এবং হামলার পেছনের মাস্টারমাইন্ড রাখাল রাহাও অলিক ম্রিকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন