parbattanews

এমপি বদির ভাই ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ঘরে অভিযান, ৩১ রোহিঙ্গা আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ৩১জন রোহিঙ্গা নারী-শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ইয়াবা বিরোধী এক সাঁড়াশি অভিযান শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তের ইয়াবা পাচারকারীরা পালাতে শুরু করে। এ সময় অনেক ইয়াবা কারবারি পালিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে ঢুকে পড়ে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ৪জন ইয়াবা কারবারির ঘরে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযান চালিয়ে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ঘর থেকে ৩১জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। হাজী সাইফুল করিম নামের আরেক আন্তর্জাতিক মাফিয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণের স্পিরিট।

এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুল রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান পরিচালনায় নিয়োজিত নারকোটিক্স বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ইয়াবা কারবারি হিসাবে তালিকাভুক্ত টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ঘরে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ঘরের কেবল একটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে ৩১জন রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বহনে জড়িত রয়েছে কিনা তার কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও তার ইয়াবাকারবারি তালিকাভুক্ত পুত্র শাহজাহানের কক্ষে তল্লাশি চালাতে গিয়েই রহস্যজনকভাবে তাৎক্ষণিক বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়। এ কারণে তল্লাশি না চালিয়ে অভিযান পরিচালনাকারীরা সরে আসেন।

পরে স্থানীয় এমপি আবদুর রহমান বদির ছোট ভাই ইয়াবা ডন হিসাবে তালিকাভুক্ত আবদুস শুকুর, আন্তর্জাতিক মাফিয়া হাজী সাইফুল করিম ও মারুফুল করিম বাবুর ঘরেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। অভিযানে হাজী সাইফুল করিমের ঘরে বিপুল পরিমাণের স্পিরিট উদ্ধার করা হয়েছে। এ কারণে হাজী সাইফুল করিমের ভাই জিয়াউল করিম জিয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

Exit mobile version