ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডে ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকতনের ঈর্ষণীয় সাফল্য
‘স্মার্ট তারুণ্য, বাঁচাবে অরণ্য’ প্রতিপাদ্যে দেশব্যাপী অনুষ্ঠেয় ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড ২০২৪ এর কক্সবাজার পর্বে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের মেধাবী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, পরিরেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল)’ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড (Wildlife Olympiad), ২০২৪ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড ২০২৪ এর কক্সবাজার পর্বে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে ঈআশিনি অলিম্পিয়াড দলের মো: আয়াজ মিয়া (১০ম শ্রেণি) অনিমেষ রুদ্র (৯ম শ্রেণি), তাহসিন আবেদীন নকীব(১০ম শ্রেণি),তানভীর সাঈদ রাফি (১০ম শ্রেণি),জুবাইদা হোসেন ( ৯ম শ্রেণি) ও শাহরীন সায়মা মিশু( ৯ম শ্রেণি)।
জেলা পর্যায়ে এই বিজয়ীরা ঢাকায় আয়োজিত ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড ২০২৪ ওর জাতীয় পর্যায়ের অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের জন্য থাকছে লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার।
পরিরেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে সর্বপ্রথম ‘Bangladesh Wildlife (Preservation) Order, 1973’ জারি করে। বন্যপ্রাণী বাঁচাতে এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করা হয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন। মূলত এই আইনের মাধ্যমে দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। পরবর্তীতে ওই আইনকে ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হয়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন অধিদপ্তর বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মসূচি পালনের ধারাবাহিকতায় টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের অধীনে দেশের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ওয়াইল্ডলাইফ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ৬৪ জেলায় আয়োজন করা হচ্ছে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড।
সারাদেশে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ৬৪টি ভেন্যুতে জেলা পর্যায়ের অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুইটি ক্যাটাগরিতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সকল মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক, কারিগরি, মাদ্রাসা বা সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীর স্কুল/কলেজ ক্যাটাগরিতে এই অলিম্পিয়াডে অংশ নিচ্ছে।