parbattanews

ওলামাদের বিরুদ্ধে গণকমিশনের ভূমিকা দেশে নতুন সংকট সৃষ্টি করবে

সারাদেশের ১০০০ মাদরাসার তালিকা করে ১১৬ জন শীর্ষ আলেমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। ওলামাদের বিরুদ্ধে গণকমিশনের এ ভূমিকা দেশে নতুন সংকট সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী।

তিনি বলেন, ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে বিতর্কিত কয়েকজন ব্যক্তি মিলে দেশের খ্যাতনামা আলেমদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তা সুদূর পরিকল্পিত। ষড়যন্ত্রের শেকড় অনেক গভীরে। দেশের সুন্দর, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে চিহ্নিত চক্রটি অপচেষ্টা শুরু করেছে। তারা দেশের আভ্যন্তরীণ সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাচ্ছে।

জাতির বিবেক ওলামায়ে কেরামদের বিরুদ্ধে যেকোনো চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র দেশের ইমানদার জনতা সহ্য করবে না। দেশের স্বার্থে এই ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

সোমবার (১৬ মে) দুপুরে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ ও শপথ অনুষ্ঠানে মাওলানা মোহাম্মদ আলী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সংগঠনের জেলা সভাপতি মাওলানা মোহছেন শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আরো বলেন, গণকমিশন সেটি কী? আলেমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের অধিকার তাদের কে দিয়েছে? নেপথ্যে কারা ইন্ধন দিচ্ছে, বের হবে। আনঅথরাইজড তালিকা আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম।

সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন তাওহীদের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব।

এ সময় আইম্মা পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা শামসুল হক নসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক ক্বারি হুমায়ুন কবির, বায়তুলমাল সম্পাদক ক্বারি নুরুস সামাদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রিদওয়ানুল কাবীর, দপ্তর সম্পাদক ক্বারি জুবাইরসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য দেন।

তারা বলেছেন, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক দ্বৈত নাগরিকত্ব গোপন রেখে বিচারপতি হয়েছেন, যা সংবিধান বিরোধী। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে তুরিন আফরোজ বহিষ্কার হয়েছেন। খোদ নিজের মায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বক্তাদের প্রশ্ন, দেশে আইন আদালত থাকতে ‘গণকমিশন’ গঠন কীভাবে হয়? গণকমিশন দেশের সংবিধান বিরোধী।

দেশের ওলামায়ে কেরামের তালিকা করে দুদকে দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। ওলামাদের বিরুদ্ধে তথাকথিত গণকমিশনের ভূমিকা দেশে নতুন সংকট সৃষ্টি করবে। তথাকথিত গণকমিশন গণধিকৃত হয়েছে।

নেতারা বলেন, তুরিন ও মানিকদের অপরাধের বিচার আগে করতে হবে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী দেশের আইন আদালতের মাধ্যমে ওলামায়ে কেরামে কোনো অপরাধ থাকলে সেটা হবে। কিন্তু গণকমিশন গঠনের এখতিয়ার তাদের কে দিয়েছে? সেটা স্পষ্ট করতে হবে।

মানিক ও তুরিনদের বিচার না করলে দেশে যে কোনো বিশৃঙ্খলার জন্য গণকমিশন দায়ী থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মোহছেন শরীফ বলেন, ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার তালিকা করে আলেমদের সমাজে অসম্মান করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। যারা তালিকা তৈরি করেছে, তারা নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী ও তিরস্কৃত।

তিনি বলেন, যুগে যুগে বাতিল শক্তিরা ইসলামের বিরুদ্ধে ছিল। এখনো তারা সক্রিয়। বাতিলের মোকাবিলায় আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এইজন্য জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ গঠিত হয়েছে।

ইসলামের প্রচার কাজকে বেগবান করতে সকল স্তরের আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান মাওলানা মোহছেন শরীফ।

Exit mobile version