parbattanews

কক্সবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার গোলাম কাদের আর নেই

রামু উপজেলার কাউয়ারখোপের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার গোলাম কাদের (৮০) আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মাস্টার গোলাম কাদের ৩ ছেলে ১ মেয়ে সন্তানের জনক। তিনি দীর্ঘদিন হার্ট ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলে।

আজ বাদ আছর কাউয়ারখোপ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে চিরসমাহিত করা হবে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মরহুমের বড় ছেলে মনজুরুল মোরশেদ কাদেরী।

মাস্টার গোলাম কাদের কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০০৪ সালে রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসরে যান।

স্বাধীনতার পরে রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন গোলাম কাদের। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী।

মাস্টার গোলাম কাদেরের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত: ১৯৪৪ সালের ২৩ আগস্ট রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন গোলাম কাদের। পিতা মরহুম কবির আহম্মেদও শিক্ষক ছিলেন। মায়ের নাম আনজুমান আরা বেগম। ৩ ভাই ২ বোনের মধ্যে মাস্টার গোলাম কাদের সবার বড়। তিনি রামু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, সাতকানিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে স্নাতক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্র লীগের প্যানেল থেকে জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন গোলাম কাদের। ছাত্র জীবন শেষে প্রথম গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। পরে কক্সবাজার ইলিয়াছ মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।

১৯৮৬ সালে মহেশখালীর হোয়ানক উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯৮৭-৯৩ সালে সদরের খুরুশকুল উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম কদম মোবারক এমওয়াই উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৯৯- ২০০৪ পর্যন্ত রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকেই অবসরপ্রাপ্ত হন। তিনি সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

স্বাধীনার পরে রামুতে প্রতিষ্ঠিত বাংলা কলেজের শিক্ষকতা করেন গোলাম কাদের। ব্যক্তি হিসেবে তিনি খুব সাদামাটা, সহজ-সরল অমায়িক, নম্র ও ভদ্র ছিলেন।

মরহুম পিতার জন্য সবার নিকট দোয়া চেয়েছেন বড় ছেলে মনজুরুল মোরশেদ কাদেরী।

Exit mobile version