কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম
বদলে যাবে পর্যটন নগরী : সমৃদ্ধ হবে অর্থনৈতিক খাত
আবদুল্লাহ নয়ন
জেলার ক্রীড়ামোদীদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের পথে। পর্যটনে আন্তর্জাতিক খ্যাতির অর্জনের সাথে সাথে এখানকার লোকজন চেয়েছিলেন ক্রীড়া জগতেও তাদের সুখ্যাতি। এজন্য কতো দাবী, কতো আন্দোলন হয়েছিল তার ইয়ত্তা নেই। অবশেষে ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ নির্মাণের মধ্যদিয়ে সে দাবী পূরণ হতে চলেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এতে করে জেলার পর্যটন শিল্প বদলে যাবার পাশাপাশি সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনৈতিক খাতও।
সুত্র জানায়, ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ছোঁয়া পেতে চলেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। এ লক্ষ্যে শহরের সমুদ্র সৈকত লাগোয়া পর্যটন গল্ফ মাঠে গড়ে তোলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম। ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চুড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর কাজের অগ্রগতি আর থেমে নেই। দৃষ্টিনন্দন পরিকল্পনায় নিজস্ব অর্থায়নে স্টেডিয়ামটি নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
কক্সবাজার ক্রীড়া সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এম আর মাহবুব মনে করেন, একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম বদলে দিতে পারে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে। তাই এসব দেখে উজ্জীবীত কক্সবাজারের মানুষ। স্টেডিয়াম নির্মাণকে ঘিরে সর্বত্র চলছে উৎসব আর আনন্দ উল্লাস।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার এর সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান জানান, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত আর সারি সারি ঝাউবিথী পর্যটককে যেমন কাছে টেনেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাধ্যমে ক্রীড়া নৈপূন্য উপভোগ করতে পর্যটকরা আরো উৎসাহি হয়ে ছুটে আসবেন কক্সবাজারে। জেলা মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনাযক নুপুর জানান, এটি হলে পরে বদলে যাবে কক্সবাজার। তাই এখানকার সব শ্রেনী পেশার মানুষজনের মাঝে যেন খুশির সীমা নেই। দেশের প্রথম সার্ফার ও সার্ফিং বাংলাদেশের সভাপতি জাফর আলমও তার প্রতিক্রিয়ায় স্টেডিয়াম নির্মাণের সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ হলে পর্যটন শিল্প বিকাশ এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি উন্নতি হবে কক্সবাজারের অবহেলিত ক্রীড়া জগতের। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান কক্সবাজারে এক সফরে এসে বলেছিলেন, ২০১৪ সালের মার্চ-এপ্রিলে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহিলাদের ৮টি খেলায় কক্সবাজারে করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সমুদ্র সৈকত ঘেঁষে ২৫ একর জায়গায় নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এর ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।