parbattanews

কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের মিডওয়াইফারি সম্মেলন শুরু

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে কক্সবাজার সাগর পাড়ের হোটেল লংবীচে মিডওয়াইফ সম্মেলন শুরু হয়েছে

কক্সবাজারে শুরু হওয়া দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক মানের মিডওয়াইফারি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাসচিব ড. নাসিমা সুলতানা বলেন, গর্ভজনিত মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার রোধে মিডওয়াইফদের অবদান অনেক বেশি। একজন প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফের সঠিক পর্যবেক্ষণ ও পরিচর্যায় নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত হতে পারে। তাই প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফদের প্রশিক্ষণ শেষে গ্রামে-গঞ্জে চলে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে উন্নত সেবা বঞ্চিত প্রত্যন্ত গ্রামের গর্ভবতীদের সেবায় মনোনিবেশ করতে হবে।

‘হোপ ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে কক্সবাজারে শুরু হওয়া দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক মানের মিডওয়াইফারি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে কক্সবাজার সাগর পাড়ের হোটেল লংবীচে দেশের প্রথমবারের মতো এই সম্মেলন। শেষ হবে রবিবারে।

হোপ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ডা. ইফতিখার মাহমুদ মিনার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাসচিব ড. নাসিমা সুলতানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, ডিজিএমএন এর পরিচালক (প্রশাসক) শিরিন দিলহুর, ওজিএসবি’র প্রেসিডেন্ট প্রফেসর সামিনা চৌধুরী, বিএনএমসি’র রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম, ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি অসা টরকিলসন। এছাড়াও সরকারি, দেশি বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এই সম্মেলনে।

সম্মেলনে সার্বিক পরিচালনায় রয়েছেন হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় আছেন হোপ হসপিটালের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা নৃম্রয় বিশ্বাস। এতে অংশ নিয়েছেন সারাদেশের চার শতাধিক মিডওয়াইফারি। বিভিন্ন দেশ থেকে যোগ দিয়েছেন খ্যাতনামা প্রশিক্ষকেরা।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, একজন মিডওয়াইফারি হচ্ছেন একজন গর্ভবতীর ভরসা ও শেষ ঠিকানা। মিডওয়াইফারির আশ্বাসেই একজন গর্ভবতী অর্ধেক সুস্থ্যতা বোধ করে। এতে তার স্বাভাবিক সন্তান প্রসব প্রক্রিয়া প্রসন্ন হয়। তাই মিডওয়াইফারিদের সেভাবে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা সহকারে সেবা দিতে হবে। তাহলে মাতৃমৃত্যু এবং সিজার ডেলিভারি তুলনামূলকভাবে হ্রাস পাবে- যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অবদান রাখবে।

হোপ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ডা. ইফতিখার মাহমুদ মিনার বলেন, মাতৃমৃত্যু রোধ করতে আমাদের প্রচেষ্টা থেমে নেই। এর অংশ হিসেবে সারা দেশের প্রশিক্ষিত ধাত্রীদের আরো যোগ্য ও সচেতন করে তুলতে দেশের প্রথম মিডওয়াইফারি সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। এই সম্মেলনে বিশ্বের বহুদেশ থেকে আসা খ্যাতনামা মিডওয়াইফারিরা প্রশিক্ষণ দেবেন। এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো প্রশিক্ষিত ধাত্রীদের আরো দক্ষ করে গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দেয়া। তিনি বলেন, এই সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে সম্মেলনে বেশ প্রণোদনা দেয়া হবে। আমার বিশ্বাস আমাদের এই উদ্যোগ সফল হবে। এর মাধ্যমে সারাদেশের গ্রামা-গঞ্জে সেবা দিতে তৈরি হবে আমাদের ধাত্রীরা। আমরা তাদের কাছ থেকে সেটাই প্রত্যাশা করবো।

Exit mobile version