কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল থেকে ১২ পতিতা-খদ্দের আটক

fec-image

কক্সবাজার শহরের লালদীঘি পাড়ের জিয়া কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার আমেনা গেস্ট হাউজ থেকে ১২ জন পতিতা-খদ্দের আটক করেছে পুলিশ। সেখানে ৬ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছে।

অভিযানকালে আরও চারজন আটক হয়। সেখানে ১ জন নিরপরাধ প্রমাণ পায় পুলিশ। বাকি ৩ জন কিশোর, যাদের বয়স ১৬ বছরের মধ্যে।

এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস।

তিনি জানান, শহরের কিছু আবাসিক হোটেলে অপরাধকর্ম সংঘটনের বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়া যায়। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আমেনা গেস্ট হাউজ ও লালদীঘি এলাকা থেকে মোট ১৬ জনকে আটক করা হয়। তথ্য যাচাই বছাইয়ে সেখানে ১ জন পুরুষ নিরপরাধ ও ৩ জন শিশু হওয়ায় ছাড়া পাবে।

ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, জনবিরক্তির দায়ে ৬ নারী ও ৬ পুরুষের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, জিয়া কমপ্লেক্সের হোটেল আল জিয়ার দ্বিতীয় তলার প্রতিটি কক্ষ পতিতাবৃত্তির জন্য ভাড়া দিয়ে থাকে। এই মার্কেটের সামনে যেন ‘ওপেনসিক্রেট’ পতিতার হাট! চক্ষুলজ্জায় সেখানকার ব্যবসায়ীরা মুখ খুলতে পারছে না। পথচারীরাও বিব্রত।

তাছাড়া, লালদীঘিপাড় ও আশপাশের আরো কয়েকটি আবাসিক হোটেলে অনায়াসে চলে যৌনলিলা। তাদের একমাত্র আয় এই পন্থায়।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এসবের সাথে জড়িত। তারাই বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বাসাবাড়িতে যৌনকর্মীদের সরবরাহ করে থাকে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। অপরাধ নির্মূলে এরকম নিয়মিত অভিযান চায় তারা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, কক্সবাজারে, পতিতা-খদ্দের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন