সদর হাসপাতালে চালু হয়েছে আইসিইউ, স্থাপিত হচ্ছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট

কক্সবাজারে করোনায় মৃত্যু ৩৬, আক্রান্ত ২ হাজার ৯৮, সুস্থ ৬৯৮

fec-image

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ২১ জুন (রবিবার) পর্যন্ত কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত, সুস্থ ও মৃত্যু সংখ্যা ভিত্তিক একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে ২১ জুন পর্যন্ত কক্সবাজারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ২ হাজার ৭৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৯৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের।

এর পর ২২ জুন রাতে করোনায় মারা যান এড. সালামত উল্লাহ রানা। এতে করে কক্সবাজারে করোনায় সর্বশেষ (২৪ জুন) পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা হবে ৩৬ জন। আর সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা হল ২ হাজার ৯৮ জন।

তথ্যচিত্রে উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো-কুতুবদিয়ায় আক্রান্ত ২০, সুস্থ ৬ এবং মৃত্যু ১ জন। পেকুয়ায় আক্রান্ত ৮৯, সুস্থ ৬৬ এবং মৃত্যু ৩ জন।

চকরিয়ায় আক্রান্ত ২৮৫, সুস্থ ১৯৩ এবং মৃত্যু ৫ জন। মহেশখালীতে আক্রান্ত ৭৪, সুস্থ ৫৩ এবং মৃত্যু ১ জন। রামুতে আক্রান্ত ১৭৬, সুস্থ ৫৫ এবং ১ মৃত্যু জন।

কক্সবাজার সদর আক্রান্ত ৯৩৭, সুস্থ ১৫৬ এবং মৃত্যু ১৭ জন। উখিয়ায় আক্রান্ত ২৭৭, সুস্থ ১৭৭ এবং মৃত্যু ৪ জন। টেকনাফে আক্রান্ত ১৭৯, সুস্থ ৫৩ এবং মৃত্যু ৩ জন।

এদিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চালু হয়েছে আইসিইউ এবং এইচডিও সুবিধা। আইসিইউ ইউনিটে প্রথম রোগী হিসেবে ভর্তি হয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ রাজনীতিবিদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

এ ছাড়াও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থাপিত হচ্ছে লিকুইড সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট। যেখান থেকে হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। দেশের কোন জেলা হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন এটিই প্রথম বলে জানা গেছে।

হাসপাতালের উত্তর গেইটে সোমবার (২২ জুন) সকালে প্ল্যান্ট স্থাপনের চূড়ান্ত কাজ শুরু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউনিসেফ ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে দেশের কোন জেলা সদর হাসপাতালে এটি হচ্ছে প্রথম সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপন প্রকল্প বলে জানা গেছে ।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রথম এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। আর এতে ব্যয় হবে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।

কবে নাগাদ কাজটি শেষ হবে তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও জুনের মধ্যে এর কাজ শেষ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছে।

দাতা সংস্থার পক্ষে কাজের তদারক করছেন কক্সবাজার সির্ভিল অফিসের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. জামশেদুল হক।

তিনি জানান, অনেক প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি করতে হবে। তাই স্থাপনের কাজটি কখন শেষ হবে তা সঠিক বলা যাচ্ছে না।তবে, যত দ্রুত সম্ভব তারা কাজটি সম্পন্ন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে তারা।

ডা. জামশেদ জানান, এখান থেকেই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন