parbattanews

কক্সবাজারে করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৭ জন

কক্সবাজারে করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জানা গেছে শনিবার (২০ জুন) পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার রোগীর সংখ্যা হয়েছে ২০০৭ জন।

বিশেষজ্ঞদের মতে বিগত ২ সপ্তাহ কারফিউ টাইপের লকডাউন না হলে সংখ্যাটা আরও বাড়ত। লকডাউনে স্বেচ্ছাসেবক এবং পৌরসভার যৌথ অংশগ্রহণ শহরে ছিল চোখে পড়ার মত। এসব বিবেচনায় এই করা লকডাউন ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সংক্রামক রোগ ও ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজিরের মতে ১৯ জুন সদর উপজেলায় ৭২ জন রোগী দেখে অনেকে ভয় পেয়েছেন। কিন্তু পরিসংখ্যান দেখা যায় তা স্বাভাবিক।

সেদিন ৭২ জনের মধ্যে সদর হাসপাতালে ভর্তি বিভিন্ন উপজেলার রোগী ও বিভিন্ন বাহিনীর সদরের বাইরের রোগীদের বাদ দিলে রোগীর সংখ্যা ৬০ জন। ৪২৯ জনের স্যাম্পলে ৬০ রোগী মানে ১৩.৯৮%। আর ২০ জুন ৭৮ জনের স্যাম্পল ১২ জন রোগী মানে ১৫.৩৮%.।

তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীরা ফরম পুরনের সময় শুধু কক্সবাজার লিখে থাকেন। কক্সবাজার হচ্ছে কুতবদিয়া থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত। খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। কারণ তাদের দেওয়া মোবাইলে ফোন করলেও পাওয়া যাচ্ছে না। এতে তাদের চিকিৎসার আওতায় আনতে না পারলে অভিযান ব্যর্থ হবে।

তিনি আরো বলেন, ২০০০ রোগীর পেশা হিসেবে ভাগ করলে কক্সবাজারে ৫টি পেশার লোক আক্রান্তের তালিকায় বেশী। ছাত্র-ছাত্রী ২২.২৩%, এনজিও প্রতিনিধি ১৬.৭২%, স্বাস্থ্যসেবা দানকারী ৮.৯৬%, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য ৭.৫% ও ব্যাংকার ৪.৪% ভাগ।

রোহিঙ্গা ৩.০%। বাকিরা অন্যান্য পেশার। এখানে রোহিঙ্গাদের মাঝখানে অন্য পেশার যেমন, ফার্মাসিস্ট, পল্লী চিকিতসক, ব্যবসায়ী, দিনমুজুর অনেক আছে। মৃত্যুর সংখ্যা ও ১.৫%.।

তাঁর মতে টপ ৫ এই পেশা গুলিকে এড্রেস করে , উনাদের চ্যালেঞ্জ গুলি খুঁজে বের করে, ট্রেকিং, ট্রেসিং, টেস্টিং ও ট্রিটিং এর আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

তাদের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মোতাবেক “সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, ও প্রতিরোধ” বাস্তাবায়ন করতে পারলে আল্লাহর মেহেরবাণীতে কক্সবাজার জেলা করোনামুক্ত হবে বলে তিনি মনে করেন।

Exit mobile version