কক্সবাজারে ছাত্রলীগ কর্মীর আঘাতে বিএনপি কর্মী নিহত


কক্সবাজারের মহেশখালীতে ‘রাজনৈতিক তর্কের জেরে’ ছাত্রলীগের কর্মীর লাঠির আঘাতে বিএনপির স্থানীয় এক কর্মী নিহত হয়েছে; এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, মহেশখালী থানার ওসি কায়সার হামিদ। নিহত আব্দুর রশিদ (৪৫) একই এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি বিএনপির কালারমারছড়া ইউনিয়ন কমিটির সদস্য। অভিযুক্ত অমিত ইকবাল (২২) ছাত্রলীগের কালারমারছড়া ইউনিয়ন কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক। ঘটনায় আটকরা হল, অমিত ইকবালের ভাই মো. কামরুল ও হেলাল উদ্দিনকে।
নিহতের ভাতিজা জাহেদ হোসেন বলেন, তার চাচা আব্দুর রশিদ ও অমিত ইকবাল দুজনই ভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী হলেও প্রতিবেশী হিসেবে সুসম্পর্ক ছিল। তারা পরস্পর আড্ডায়ও মেতে উঠতেন। সোমবার সকালে বাড়ীর পাশে স্থানীয় একটি পুকুরের পাড়ে তারা আড্ডায় রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে আলাপ করছিলেন। আড্ডার একপর্যায়ে তারা পরস্পর তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে হাতাহাতিতেও জড়ান। এ সময় ঘটনার খবর পেয়ে অমিতের ভাই কামরুলসহ আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুর রশিদকে আঘাত করে। খবর শুনে আত্মীয় স্বজনসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় আহত আব্দুর রশিদকে উদ্ধার করে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি কায়সার হামিদ জানান, তুচ্ছ ঘটনায় তর্কাতর্কির জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় লাঠির আঘাতে আব্দুর রশিদ নামের একজনকে পিটিয়ে হত্যার খবর শুনে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত অমিত ইকবালের বাড়ি ঘেরাও করে দুজনকে ধরে পুলিশের কাছে তুলে দেন। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি