parbattanews

কক্সবাজারে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে আনন্দ মেলা

কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে উদ্বোধন হয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে মুজিব শতবর্ষ আনন্দ মেলা। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মেলা সমাপ্ত হবে।

অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে শুরু হওয়া এই মেলায় বিভিন্ন পণ্যের স্টল বসানো হয়েছে। মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের হাতে তৈরি পণ্য সামগ্রী প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে। সেই সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়ও করছে তারা।

উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন- জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুরাইয়া আকতার সুইটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালক সুব্রত বিশ্বাস, সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস-চেয়ারম্যান হামিদা তাহের, জেলা পরিষদের সদস্য আশরাফ জাহান কাজল, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহেনা আকতার পাখি।

মেলা উপলক্ষে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের উন্মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভায় জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে ‘মুজিব শতবর্ষ আনন্দ মেলা’ আয়োজন করা হয়েছে। এতে করে নারীদের ক্ষমতায়নকে আরো বেগবান করবে।

তিনি বলেন, বেকার ও সুবিধা বঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আত্ননির্ভরশীলতা অর্জনে উদ্ধুব্ধ ও সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি নারী সমাজকে মানব সম্পদে পরিণত করার লক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় মহিলা সংস্থা কাজ করছে। নেয়া হয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্প (৩য় পর্যায়)। ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় ফ্যাশন ডিজাইনিং, ক্যাটারিং, বিউটিফিকেশন, বি এন্ড মাশরুম, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান।

কানিজ ফাতেমা বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বিপননের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মেলার আয়োজন করা হয়। ফলে নারী উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিষয়ে ক্রেতাদের সাথে সরাসরি আলোচনা করে চাহিদা সম্পর্কে জানতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নিজেদের হাতে তৈরি পণ্য সামগ্রী প্রত্যক্ষভাবে প্রদর্শন ও বাজারজাতকরণে সক্ষম হবে নারীরা। যেটি ছিল জাতির জনকের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়নের পথে।

Exit mobile version