কক্সবাজারে নারী নির্যাতনের ঘটনায় আটক ৩
কক্সবাজারের চকরিয়ায় নারীকে বিবস্ত্র করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের মাংস কেটে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের একপর্যায়ে ওই নারী জ্ঞান হারালে মৃত ভেবে রাস্তার ওপর ফেলে চলে যান নির্যাতনকারীরা।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ভোর ৭টার দিকে চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলাম নগর এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার (১৫ জুলাই) দিনগত রাতে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন প্রধান অভিযুক্ত চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের ইসলাম নগর এলাকার মৃত ছৈয়দ হোছন ওরফে বুদু ড্রাইভারের ছেলে আবুল হোছন (৫০), আরিফ পুতিয়া (৪০) ও একই এলাকার আবু তাহেরের স্ত্রী ডলি আক্তার (৩০)।
অমানবিক এ নির্যাতনের ঘটনায় এক নারীসহ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী নারীর নাম ইসমত আরা বেগম (৩৮)। তিনি চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলাম নগর এলাকার বাসিন্দা। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ১১ জুলাই প্রতিবেশী আবুল হোছন, সেলিম, মোহাম্মদ আরিফ পুতিয়া, ডলি আক্তারসহ আরও কয়েকজন তাকে বিবস্ত্র করে নৃশংসভাবে নির্যাতন করেন। এসময় নির্যাতনকারীরা দা, কিরিচ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম ইসমত আরাকে এলোপাতাড়ি কোপান। একপর্যায়ে রান ও শরীরের বিভিন্ন অংশের মাংস তুলে ফেলেন। এতে ওই নারী জ্ঞান হারালে মৃত ভেবে টেনেহিঁচড়ে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে আসেন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হলে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫-৬ জনকে আসামি করে ১৫ জুলাই চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেন ভিকটিমের বোন জিন্নাত আরা (৪০)। পরে অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত আবুল হোছনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব-১৫ এর মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুস সালাম চৌধুরী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।