parbattanews

কক্সবাজারে পর্যটক অপহরণ মামলায় ২ আসামি গ্রেফতার

কক্সবাজার শহরের শিউলি কটেজে ৪ পর্যটক অপহরণ করে টাকা আদায়ের মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

তারা হল, ঈদগাঁও ইসলামপুরের পশ্চিম খান ঘোনার নুরুল আজিমের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৫) ও পূর্ব বামন কাটার আব্দুস সালামের ছেলে মো. সাকিল (২২)।

শনিবার (১৩ আগস্ট) রাত ১১ টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।

তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তাদের সাথে আরো ৮ থেকে ১০ জন জড়িত রয়েছে।

দুই আসামির ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন যাবত তারা সহজ-সরল ট্যুরিস্টদের বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে শিউলি কটেজে নিয়ে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতো। পর্যটকদের আপত্তিকর ছবি ধারণ করে রাখতো। কোথাও অভিযোগ দিলে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলে ভয়-ভীতি দেখাতো।

মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত দুইজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে জড়িত একটি বড় দালাল সিন্ডিকেটের তথ্য পাওয়া গেছে।

কটেজ জোনটি পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। সেখানকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়াতেই মূলত কয়েকটি কটেজে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়ে আসছিল। তদন্তে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

তিনি জানান, ঘটনায় সম্পৃক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। কটেজ মালিকদের কেউ আটক হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট শহরের লাইট হাউজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিউলি কটেজ নামক ‘টর্চার সেল’ থেকে ৪ জনকে উদ্ধার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তারা হলেন, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা দক্ষিণ ডিককূল এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে ইফাজ উদ্দিন ইমন (১৭), একই এলাকার বেলাল আহমদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৫), টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ এলাকার নুর মোহাম্মদের দীল মোহাম্মদ (১৭) ও চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার ফয়েজ আহমেদের ছেলে মো. ইমরান (১৯)।

একইদিন ১১ দালাল আটক করে পুলিশ। তারা হলেন, মো. আলমগীর (৪৫), মো. সেলিম (২০), আকাশ দাস (২৩), মো. জোবায়ের (২৮), মো. মামুন (২২), নাজির হোসেন (২৮), সেকান্দর আলী (২৮), মো. সোহেল (৩০), মো. জাহাঙ্গীর আলম(৩৩), মো. জসিম (২৭), মো. পারভেজ (২৫)।

এ ঘটনায় ৯ আগস্ট অজ্ঞাত নামা ৭ থেকে ৮ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশের এস আই হামিদ মামলাটি তদন্ত করছেন।

সেদিনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত দুই আসামি ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে ট্যুরিস্ট পুলিশ জানিয়েছে।

Exit mobile version