parbattanews

কক্সবাজারে পর্যটক হয়রানি, ১৯ দালালের তিন দিনের কারাদণ্ড

কক্সবাজারে পর্যটক হয়রানির অভিযোগে আটক ১৯ দালালকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।

তারা হলেন- জাফর আলম (৩৮), মো. আব্দুলাহ (১৮), ইসমাইল (২৪), ইব্রাহীম (৩৭), নুর আলম (২৬), চাঁদ মিয়া (১৯), নজু আলম (৩৫), রুবেল (২৬), জুয়েল মিয়া (৩২), সাদেকুর (২৬), সৈয়দ নুর (৩০), সাহিদ (২৬), হেলাল উদ্দিন (৪০), সাগর (২৩), গিয়াস উদ্দিন (৩৩), সৈয়দ আলম (৩৬), মো. হোসেন (৪৭), রবিউল হাসান (২০) ও ইমরান (২১)।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুল মনসুর সিদ্দিকী এ রায় প্রদান করেন।

এর আগে সকালে কলাতলীর ডলফিন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ১৯ দালালকে আটক করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এ সময় ১৪ টি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের এসআই মো. ইসমাইল। যার এফআইআর নং-১৭৪/২২।

সূত্র জানায়, গাড়ি থেকে নামলে পর্যটকের লাগেজ টানাটানি, জোর করে গাড়িতে তুলে নেওয়া, ব্ল্যাকমেইলিং করে হোটেলে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি অপরাধমূলক কর্মে জড়িত রয়েছে একটি চিহ্নিত চক্র। তাদের কারণে পর্যটন নগরীর মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।

পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার অভিযানে নেমেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, ডলফিন পয়েন্টে অটোরিকশা চালকসহ বেশকিছু দালালচক্র পর্যটকদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকে। ব্ল্যাকমেইলিং, জোর করে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যাওয়া, পর্যটকদের মালামাল ছিনতাই, ইভটিজিং, এমনকি ধর্ষণের মত ঘটনার সাথেও একটি চক্র জড়িত।

পর্যটন শহরের আবাসিক হোটেল কেন্দ্রিক এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটক হয়রানিতে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযোগ রয়েছে, কিছু নিম্নমানের আবাসিক হোটেল-কটেজ মালিক নির্ধারিত কমিশনের চুক্তিতে দালালচক্র নিয়োজিত করেছে। বিশেষ করে রিকশা ও টমটম চালকদের টার্গেট করে এসব কাজে ব্যবহার করছে হোটেল পরিচালকরা। মোড়ে মোড়ে পর্যটক টার্গেট করে বসে থাকে তারা। বাস টার্মিনাল, কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে তাদের দৌরাত্ম্য খুব বেশি।

Exit mobile version