parbattanews

কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের একদিন আগেই লোকের সমাগম

আগামীকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্ট সংলগ্ন শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ। তার একদিন আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সমাগম শুরু হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল দেখা গেছে। প্রচারণা, মিছিল, শোডাউন পুরো শহর মেতে উঠেছে। প্রচারণার গাড়িতে চলছে স্বাগত গান।

বিকালে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে স্বাগত মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশেষ করে সন্ধ্যাবেলায় কলাতলী মোড় থেকে বিশাল একটি মিছিল শুরু হয়। যাদের সবার গায়ে লাল গেঞ্জি ও মাথায় ছিল ক্যাপ। তারা বহন করেছে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও এমপি জাফর আলমের ছবি সম্বলিত প্ল্যা-কার্ড, ব্যানার। মিছিলের বহরটি কলাতলী হইয়ে লাবণী পয়েন্ট ঘুরে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠিত মিছিলে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম।

বিকেল পাঁচটার দিকে কলাতলী মোড়ে নুরুন্নবী নামক এক ব্যক্তির দেখা হয়। বয়স অনুমান ৬০ বছর। এসেছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে।

জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আগামীকাল কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ। তাই আগেভাগে এসে গেছেন। সঙ্গে এসেছেন আরো শতাধিক লোক। তারা হোটেলে থাকবেন।

কুতুবদিয়া থেকে আসা ষাটোর্ধ্ব আবুল হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি একনজর দেখতে তিনি আগের দিন চলে এসেছেন। মঞ্চের শুরুতে বসার চেষ্টা করবেন। তাদের এলাকা থেকে আরো অনেক লোক এসেছে বলেও জানান বয়োবৃদ্ধ এই ব্যক্তি।

আগামীকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ইনানী সাগরে আন্তর্জাতিক নৌশক্তি মহড়া উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তৃতা দেবেন।

২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে এসে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দলীয় জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা দিক বিবেচনায় তার এবারের সফর কিন্তু অনেক গুরুত্ব বহন করে।

এদিকে, শেখ হাসিনার সফর ঘিরে পুরো শহর সাজানো হয়েছে। তাকে স্বাগত জানিয়ে টাঙানো ব্যানার-ফেস্টুন ও বিলবোর্ড-পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন সড়ক, উপসড়ক। লবাণী পয়েন্ট সড়কে বসানো হয়েছে বড় বিলর্বোড। ভাঙাচোরা সড়কের সংস্কার, ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সড়কে লাইটিং ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে সমানতালে। অসম্পন্ন প্রধান সড়কের কাজও কোনমতে শেষ করা হয়েছে।

বিমানবন্দর থেকে শহরের কলাতলীর হাঙর ভাস্কর্য মোড় পর্যন্ত পাঁচ-ছয় কিলোমিটার সড়কে দুই শতাধিক তোরণ তৈরি হয়েছে।

Exit mobile version