parbattanews

কক্সবাজারে মৌসুমের শুরুতেই বাড়ছে পর্যটকের ঢল, নিরাপত্তা জোরদার

মৌসুম শুরুর সাথে সাথে বাড়ছে পর্যটকের ঢল। এদিকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে অন্যন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সরেজমিনে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতের লাবনী, সুগন্দা, কলাতলী, হিমছড়ি, ইনানী ও পাটুয়ারটেকসহ বিভিন্ন পয়েন্টে জমায়েত হয়েছে লাখো পর্যটক। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পর্যটকদের ভিড় রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ টেকনাফের সেন্টমার্টিন, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। আগত পর্যটকরা সাগরে গোসল আর ভ্রমণের মধ্য দিয়ে উপভোগ করছে এই নগরীর প্রকৃতির সৌন্দর্য। এতে আনন্দিত দেশি-বিদেশি পর্যটক।

ভারতীয় পর্যটক রোহান জানান, তিনি বিভিন্ন দেশের সমুদ্র সৈকতে গিয়েছেন। কিন্তু কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত তার কাছে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লেগেছে। এখানে না আসলে বুঝতে পারতেননা এই সমুদ্র সৈকত এত সুন্দর।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা সাইফুল ইসলাম জানান, সময় পেলেই কক্সবাজার ভ্রমণে আসা হয়। এখানে যতবার আসি তত বারই ভাল লাগে। বিশেষ করে বিশাল সমুদ্র। তবে সমুদ্র সৈকতের বাহিরেও পর্যটকদের বিনোদনের জন্য ভিন্ন কিছু করা উচিৎ।

পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণের প্রসঙ্গে জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান জানান, ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি বাড়তি সেবা প্রদানে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি অন্যন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। সাগরে গোসল করতে নামা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য লাইফগার্ডসহ বিচ কর্মীরা দায়িত্বরত রয়েছে। এছাড়া খাবারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড় ।

এই শহরের সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজে ইতোমধ্যে বুকিং সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এসব পর্যটকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়াসহ সেবা প্রদানে অঙ্গীকারাবন্ধ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

Exit mobile version