কক্সবাজারে র্যাবের জালে ধরা পড়েছে ভুয়া র্যাব টিমের মূলহোতা ফারুক


কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র্যাব পরিচয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণের ঘটনার মূলহোতা জায়েদ হোসেন ফারুক অবশেষে ধরা পড়েছে র্যাব-১৫ এর জালে। এসময় জব্দ করা হয় র্যাবের পোষাক, ফেক আইডি কার্ড, দেশি-বিদেশি অস্ত্র-গুলি ও হ্যান্ডকাফ।
সোমবার দুপুরে র্যাব ১৫ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক। গ্রেফতার মূলহোতা জায়েদ হোসেন ফারুক উখিয়া হলদিয়া পালং পশ্চিম মরিচ্যা এলাকার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ১১ জুন বুধবার রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প বসবাসরত মো. রহিমুল্লাহর ছেলে মো. হাফিজ উল্লাহকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন ও এনায়েত উল্লাহর যোগসাজশে র্যাব পরিচয়ে ৩ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অপহরণ করে। এই ৩ সন্ত্রাসী হলেন র্যাব থেকে বরখাস্তকৃত সৈনিক সুমন মুন্সি, ফারুক ও শিকদার। তারা মো. হাফিজ উল্লাহকে নিজ বসতঘর থেকে রঙ্গিখালী গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাত স্থান থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে পরিবারের কাছে।
র্যাব আরো জানায়, এ ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে মাঠে নামে র্যাবের টিম। গত ১৩ জুন রঙ্গিখালী ডাকাত শাহআলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুর নামে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করে। পরদিন মরিচ্যা বাজার থেকে আটক করে র্যাব থেকে বরখাস্তকৃত সৈনিক মো. সুমন মুন্সিকে। পরে আটককৃতদের সাথে নিয়ে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ , এপিবিএন ও বনবিভাড়ের আড়াই শতাধিক জনবল নিয়ে গহীন অরণ্যে ৭২ ঘণ্টা যৌথ অভিযান চালিয়ে অপহৃত হাফিস উল্লাহকে উদ্ধার করে। প্রথম দফা অভিযানে ১ টি দেশীয় অস্ত্র, ৩ রাউন্ড গুলি সহ র্যাবের পোষাক ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, ২৭ জুন শুক্রবার অপহরণের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ডাকাত শিকদারকে মরিচ্যা থেকে গ্রেফকরা করা হয়। শেষে শিকদারের তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ি থেকেই অপহরণের মূলহোতা জায়েদ হোসেন ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। ফারুককের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় র্যাবের ৪টি পোষাক, একটি ফেইক আইডি কার্ড, ১ টি হ্যান্ডকাপ, ১টি বিদেশী পিস্তল, ২টি দেশী অস্ত্র, ১০ রাউন্ড তাজা গুলি, ১১ রাউন্ড কার্টিজ ও টি ছুরি।
উল্লেখ্য, আটক বরখাস্ককৃত সৈনিক সুমন র্যাবে চাকরির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কয়েক বছর আগে ঢাকা মিরপুরের শাহ আলী মার্কেট থেকে র্যাবের পোষাক তৈরি করে। মো. হাফিজুল্লাহ অপহরণের সাথে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ সন্ত্রাসীদের আটক করতে পারলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন ও ডাকাত শাহ আলম সহ কয়েকজন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে র্যাব।