parbattanews

কক্সবাজারে লাগামহীনভাবে পিঁয়াজের দাম বাড়ছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

হঠাৎ করেই নিত্য প্রয়োজনীয় পিঁয়াজ পণ্যটির দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।

শনিবার (১১ আগস্ট) শহরের বড়বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি পিঁয়াজ ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হয়।

কক্সবাজার শহরের কয়েকটি কাঁচা বাজারে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পিঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যদির দাম বেড়েছে আরো বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সম্প্রতি জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মজুদ কাঁচাপণ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পিঁয়াজের বাজারে। এ ছাড়া সামনেই কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির।

বড়বাজারের পিঁয়াজ ব্যবসায়ী ইসকান্দর বলেন, হঠাৎ করেই পিঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সীমান্ত দর বেশি বলে আমাদেরকেও এখানেও পিঁয়াজের দাম বেশি নিতে হয়।

বড়বাজারের আরেক ব্যবসায়ী কাসেম এন্ড সন্স এর মালিক হাজী আবুল কাসেম বলেন, মূলত ভারত থেকে বেশিরভাগ পিঁয়াজ আমদানি করা হয়। বর্তমানে ভারতেও পিঁয়াজের দাম বেশি বলে আমাদের দেশেও বেশি হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের আর কিছু করার থাকে না। সীমান্ত দর বা বর্ডার রেটকেও তিনি পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন।

এদিকে বড়বাজারের বিখ্যাত পিঁয়াজ ব্যবসায়ী ইমন ষ্টোর এর মালিক মো. ইদ্রিস জানান, গত দুয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে আন্দোলন, ধর্মঘটের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল তাছাড়া সারাদেশে টানা বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় খাতুনগঞ্জের মজুদ কাঁচাপণ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিতে পিঁয়াজসহ অনেক কাঁচামাল পচে গেছে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টিতে উৎপাদক পর্যায়ের কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য পিঁয়াজের দাম বেড়েছে।

এছাড়াও পিঁয়াজের পাশাপাশি দাম বেড়েছে আদার। প্রতি কেজি আদায় মানভেদে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। তবে আগের বাড়তি দর ১০০ থেকে ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে করলা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, আলু ২০ থেকে ২২ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা, পটল ও ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Exit mobile version