কক্সবাজারে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, দুইজন আটক
কক্সবাজারের টেকনাফে মাদ্রাসা পড়ুয়া কন্যা শিশুকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে রাখার ঘটনায় জড়িত সন্দেহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুর সোয়া ১টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গুরপাড়ায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান, টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
আটকরা হল, নুর হাফেজ ও আল কামাল। তারা দুইজনেই সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গুরপাড়ার বাসিন্দা।
মৃত উদ্ধার তাহমিনা আক্তার (৭) সাবরাং ইউনিয়নের ডাঙ্গুরপাড়ার আব্দুল জলিলের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণী ছাত্রী।
জানা যায়, সকালে তাহমিনা আক্তার প্রতিদিনের মতো স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়তে যায়। বেলা ১১টায় মাদ্রাসার ক্লাস শেষে সে বাড়ী ফিরে আসে। পরে বাড়ী থেকে প্রতিবেশী অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে বের হয়। দুপুরের পরও তাহমিনা বাড়ীতে না ফেরায় স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে সন্ধান না পাওয়ায় গাড়ি যোগে স্বজনরা মাইকিং করে প্রচারণা চালায়।
এক পর্যায়ে রাত ৯টায় শাহপরীরদ্বীপের ডাঙ্গর পাড়ায় রাস্তার পাশে স্থানীয়রা সন্দেহজনক একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা বস্তাটি খুলে একজন মেয়ে শিশুর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। মৃতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় পুলিশের ধারণা শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
তবে কারা, কি কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ এখনো তা নিশ্চিত নয়।
ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, রোববার দুপুরে মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে শিশুকে বস্তাবন্দি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহজনক দুই আসামি সাবরাং ইউনিয়নের ডাঙ্গুরপাড়ায় অবস্থান করছে বলে স্থানীয়রা পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। পরে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে রোববার দুপুরে মৃতের লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি গিয়াস উদ্দিন।