parbattanews

কক্সবাজারে সমুদ্র পথে ইয়াবা পাচার, এক সপ্তাহে জব্দ প্রায় ১১ লক্ষ আটক- ৮

ইয়াবা

নিজস্ব প্রতিনিধি:

মাদক ব্যবসায়ীরা নানা কৌশল অবলম্বন করছেন ইয়াবা পাচারে। প্রশাসনও বসে নেই। তারা প্রতিনিয়ত আটক করছেন পাচারকারীদের আর সেই সাথে জব্দ করছেন ইয়াবা। সপ্তাহে কয়েকবার অথবা পুরো সপ্তাহ জুড়ে এ আটক ও জব্দের ঘটনা ঘটছে। এর পরেও বন্ধ হচ্ছে না ইয়াবা পাচার। সাম্প্রতিক সময়ে মাদক ব্যবসায়ীরা সড়ক পথে সুবিধা করতে না পেরে বেছে নিয়েছে আকাশ ও সমুদ্র পথ।

বিশেষ করে সমুদ্র পথে ইয়াবা পাচারের ঘটনা ঘটছে বেশি। এক সপ্তাহের মধ্যে সমুদ্র পথে পাচার হওয়া বড় ২ টি ইয়াবা চালান জব্দ করেছে র‌্যাব-৭ ও কোস্টগার্ড এর সদস্যরা। আর এ সময় আটক করেছে ৮ জনকে এবং জব্দ করেছে পাচার কাজে ব্যবহৃত ফিশিং বোট।

খবর নিয়ে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচারে সবচেয়ে সুবিধা জনক মাধ্যম হল সমুদ্র পথ। এ পথদিয়ে মাছ ধরার নৌকা দিয়ে ইয়াবা পাচার হচ্ছে। বোটে মাছ ধরার জালসহ সবধরনের সরঞ্জাম থাকলেও মাছ ধরার পরিবর্তে চলছে ইয়াবা পাচার। অসাধু বোট ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় ফিশিং বোট ব্যবহার করছে মাদক পাচারে। আর মাদক ব্যবসায়ীরাও সেই পথকে উপযুক্ত মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে।

মিয়ানমার থেকে আসা এসব ইয়াবা সমুদ্র পথ হয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এদিকে সমুদ্র পথে মাদক পাচারের খবর জানতে পেরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তারা একের পর এক অভিযান চালাচ্ছে পাচারকারীদের আটক ও জব্দ করতে ইয়াবা।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ভোর থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত শহরের কলাতলী পয়েন্টস্থ সমুদ্র সৈকতে কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে ৭৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ সময় জব্দ করা হয় এফবি ফোরস্টার নামে ইয়াবা পাচার কাজে ব্যবহৃত একটি ফিশিং বোট। তবে এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি।

কোস্টগার্ডের সাব-লেফটেন্যান্ট এমএ হাসেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিকে ইয়াবা পাচারের কাজে ব্যবহৃত ফিশিং বোট এফবি ফোরস্টারটি ধাওয়া করা হয়। এ সময় পাচারকারীরা বস্তাভর্তি ইয়াবা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে সেসব ইয়াবা জব্দ করা হয়। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
এছাড়া গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত র‌্যাব অভিযান চালিয়ে বঙ্গোপসাগরের একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০ লাখ ইয়াবা জব্দ করে। এ ঘটনায় কক্সবাজার ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রলারের মালিকসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরার হলেন, ট্রলারের মাঝি আব্দুস সালাম (৫৫), মো. শফিক (৩৫), আব্দুর রহিম বার্মা (৩০), মিয়ানমারের নাগরিক মো. কামাল (৪২), ট্রলার মালিক সৈয়দ আলম (২৫), জয়নাল আবেদীন (২৫), রবিউল আলম (২৬) ও মো. ইসলাম মামুন (২৭)।

র‌্যাব ৭ এর অধিনায়ক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতা উদ্দিন জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৩০ নটিক্যাল মাইল দুরে গভীর সমুদ্র থেকে এফবি ইমন নামের ট্রলারটিকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে কোল্ড স্টোরেজের ভেতরে ছয়টি বস্তায় ভরে রাখা ইয়াবাগুলো পাওয়া যায়। আর তখনই মাঝি সালাম, শফিক, রহিম ও কামালকে আটক করা হয় পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অন্যদের আটক করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কক্সবাজার শুবোধ কুমার বিশ্বাস জানান, প্রশাসন বরাবরেই সক্রিয় রয়েছে মাদকদ্রব্য পাচার রোধে। এরপরেও মাদক ব্যবসায়ীরা নানা কৌশল অবলম্বন করছেন ইয়াবা পাচারে।

Exit mobile version