কক্সবাজারে ‘৪৪ মামলার আসামি জিয়া’ গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের চৌফলদন্ডী এলাকার ‘৪৪ মামলার আসামি জিয়াবুল হক জিয়া’কে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১৫। র্যাব জানিয়েছে, ভূমিদস্যু, চিংড়ি ঘের দখলকারী এবং ৪৪ মামলার আসামী জিয়াবুল হক জিয়া অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী।
বুধবার ভোরে রামু উপজেলার রাজারকুল এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
জিয়াবুল হক জিয়া চৌফলদন্ডী উপজেলার পশ্চিম মাঝেরহাট পাড়ার মনির আহমেদের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের মূর্তিমান আতংক, ভূমিদস্যু, চিংড়ি ঘের দখলকারী, অসংখ্য মামলার আসামী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জিয়াবুল হক জিয়া। তার আতংকে অনিরাপদে নির্ঘুম রাত্রীযাপন করে এলাকাবাসী। এই জিয়াবুল হক জিয়ার নেতৃত্বে এলাকায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার ও নারী নির্যাতন, জোরপূর্বক নিরাপরাধ মানুষের জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল, চুরি, ডাকাতি, মাদক ও অস্ত্র’সহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডের তথ্য পায় র্যাব। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর অভিযানে তার আস্তানা থেকে ৩০০টির অধিক স্বাক্ষরিত ফাকা দলিল দস্তাবেজ ও অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করলেও সে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, এরপর থেকে তাকে গ্রেপ্তারে র্যাব সদর দপ্তরের ইন্টেলিজেন্স উইং এবং র্যাব-১৫ এর নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়। এর সূত্র জানা জিয়াবুল হক জিয়া রাজারকুল এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে আত্মগোপনে অবস্থান করছে। ওখঅন থেকেই ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ১টি দেশীয় অস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে।
জিয়াবুল হক জিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত চৌফলদন্ডী এলাকায় নানা অপরাধের বিষয় স্বীকার করেছে জানিয়েছে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, জিয়াবুল হক জিয়া বিভিন্ন মাধ্যমে দেশি-বিদেশী অস্ত্র-গুলি সংগ্রহ করে তার দখল বাণিজ্যের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। এ সকল অবৈধ অস্ত্রের দাপটে সে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চিংড়ি ও লবণের ঘের, জমি দখল, মাদক’সহ নানা অপরাধ করতো। ইতিপূর্বে যাদের জমি/চিংড়ি ঘের দল করা হয়েছিল, তারা তাদের জমি/ঘের ফেরত চাইলে তাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ত্রাসী জিয়াবুল হক জিয়া ও তার অন্যান্য সহযোগীরা গুলি ও হামলা করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। এ সময় গুলিতে ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গ্রেপ্তার জিয়াকে কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।