parbattanews

কক্সবাজারে ৫০ একর সরকারি জমি উদ্ধার, আটক ১

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে এবং বেদখলে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধারে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে দুদক।  অভিযানের দ্বিতীয় দিন শহরের কলাতলীস্থ নতুন জেল গেইট এলাকায় সরকারি জমিতে পাহাড় কেটে গড়ে উঠা ৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।  এরমধ্যে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন ও পাকা স্থায়ী ভবনও রয়েছে।

সোমবার (৪ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টা থেকে বিকাল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।  দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সহায়তা করেন জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতর ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ ও র‌্যাব।

এসময় সরকারী জমি দখল ও পাহাড় কাটার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ জোবায়ের নামে এক জনকে আটক করা হয়।  সে ওই এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে।

দুদক জানিয়েছে, সংস্থার অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ আসার পর তাদের তত্ত্বাবধানে পাহাড় কাটা ও সরকারি জমি দখলের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়।  দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে পরিবেশ বিধ্বংসী ও সরকারী জমি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার মতো তৎপরতা প্রতিহত করার নির্দেশ দেন।

এর প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে অভিযান শুরু করে বিকালে শেষ হয়।  অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের চট্রগাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ ও পরিবেশ অধিদফতরের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান।

অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া দুদকের চট্রগাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী স্যারের নির্দেশে পরিচালিত যৌথ এ অভিযানে কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটা বন্ধের পাশাপাশি প্রায় ৫০ একর সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত এক জনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি পেছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, পাহাড় কাটা, সরকারী জমি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার মতো পরিবেশ বিধ্বংসী ও আইন বিরোধী কাজের প্রধান কারণ দুর্নীতি । প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরের নজরদারির অভাবে এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটছে।  দুদক পাহাড় কাটার ঘটনার পেছনে দুর্নীতির উৎস অনুসন্ধান ও তদন্ত করবে।  দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Exit mobile version