`কক্সবাজার আদালতে বিচারাধীন মামলার জট চরম আকার ধারণ করেছে’
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন, কক্সবাজারে মামলার আধিক্যের তুলনায় বিচারকের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। ফলে বিচারাধীন মামলার জট চরম আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারকদের গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আদালতে বিচারাধীন বিপুল পরিমাণ দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিতে বিজ্ঞ আইনজীবীগণের ভূমিকা একান্ত আবশ্যক। মামলার আধিক্ষ্য বিবেচনায় কক্সবাজার জেলায় আরো দুইটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও ২টি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রতিষ্ঠা করা একান্ত জরুরী।
মাদকের মামলাসহ সকল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ সঞ্চালনায় ২টি পর্বে বিচার বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্ব শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত আমন্ত্রিত সকল অতিথিদের নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা পরবর্তী সিদ্ধান্ত হয়। বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব শুধুমাত্র জেলার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলন কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দীন, বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী, বিজ্ঞ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস, বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ মাহমুদুল হাসান, বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সহ জেলা জজশীপ ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর সকল বিজ্ঞ বিচারক ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ অংশ নেন।
সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, পিবিআই এর পুলিশ সুপার, কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সুপার ডা. সুমন বড়ুয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা উত্তর/দক্ষিণ,আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম ছিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিয়া উদ্দিন, জি.পি এডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক, পি.পি এডভোকেট ফরিদুল আলম, স্পেশাল পি.পিগণ, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, কক্সবাজারের জেল সুপার জাকির হোসেন, জেলার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোর্ট ইন্সপেক্টর, সিনিয়র আইনজীবীদের মধ্যে এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, এডভোকেট কামরুল হাসান, এডভোকেট নুরুল মোস্তফা মানিক, এডভোকেট আকতার উদ্দিন হেলালী, এডভোকেট মোজাফ্ফর আহামদ হেলালী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম আশেক। সম্মেলনের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন-জেলা জজ আদালত মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আবু তাহের। গীতা পাঠ করেন জেলা জজ আদালতের কর্মচারী প্রদীপ চক্রবর্তী।