parbattanews

কক্সবাজার আদালত পাড়া যেন সিএনজি স্টেশন

কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণ অঘোষিত সিএনজি স্টেশনে পরিণত হয়েছে। অবাধ পার্কিংয়ের কারণে স্বাভাবিক হাঁটাচলা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিড়ম্বনার শিকার পথচারীরা। বিরক্ত আইনজীবী, সেবাপ্রার্থীরা।
বিশেষ করে অপরাধি, মাদক কারবারীরা এসব সিএনজিকে ‘প্রাইভেট গাড়ি’ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এমন অবস্থার অবসান চায় ভুক্তভোগীরা। তবে, অনেক চালক ‘বিআরটিএ অফিসে কাজে এসেছে’ বলে অজুহাত দেখায়।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) আদালত পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, এলোমেলো দাঁড়িয়ে আছে অর্ধ শতাধিক সিএনজি। সুযোগ হাতছাড়া করে নি অটো রিকশা, মোটরসাইকেলও। বেশ কয়েকটি মাইক্রো, হাইয়েস অপেক্ষমান দেখা গেছে আদালতপাড়ার সব সড়কে। বিশেষ করে মসজিদ রোডের অবস্থা নাজুক। দেখলে মনে হবে, নতুন কোন সিএনজি স্টেশন।

হাতের নাগালে মিলছে গাড়ি। তাই মামলার প্রতিপক্ষের লোকজনকে সিএনজিতে তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয়রা বলছে, চলাচলের পথ এখন সিএনজির দখলে। সংশ্লিষ্টদের সায়সারা ভাবে দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে চালকদের।

জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর বাবু বলেন, আদালত অঙ্গণে এভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার কোন নিয়ম নাই। কিন্তু তা অমান্য করে গড়ে ওঠেছে সিএনজি স্টেশন। যে কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি, হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।

চকরিয়া থেকে কক্সবাজার আদালতে জরুরি কাজে আসেন কবির আহমদ। তিনি বলেন, প্রয়োজনে গাড়ি আসবে; যাত্রী নামিয়ে দিয়ে চলে যাবে, এটাই তো নিয়ম। কিন্তু প্রতিটি গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলার পথে দাঁড়িয়ে থাকা অন্যায়। এই অবৈধ স্টেশন উচ্ছেদ চায় আদালতপাড়ার সর্বস্তরের মানুষ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, আদালত পাড়া যেন সিএনজি স্টেশন। এভাবে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকা ঝুঁকি। পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে বিষয়টি উত্থাপন করেছিলাম। বেশ কয়েকবার অভিযানও চালানো হয়েছিল।
নেপথ্যে কারো ইন্ধন আছে কিনা দেখা দরকার মনে করেন আইনজীবী সমিতির এই নেতা।

Exit mobile version