কক্সবাজার কলেজে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষ: আহত ৮
আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার
কক্সবাজার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ইসলামি ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে দুই ছাত্রসংগঠনই বিপরীতমুখি বক্তব্য দিয়েছে।
শিবির দাবি করেছে, ছাত্রলীগের ‘বহিরাগত’ ক্যাডাররা এসে কলেজ ছাত্রীদের ইভটিজিং করার চেষ্টা করে। ওই সময় ছাত্রশিবির কর্মীরা বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ছাত্রলীগ দাবি করেছে, ছাত্রশিবির পরিকল্পিত ভাবে তাদের একজন কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় শিবির তাদের ৪ জন ও ছাত্রলীগ তাদের ৩ জন কর্মী আহত হওয়ার দাবি করেছেন। তবে ঘটনার পরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, পুলিশ যাওয়ার আগেই হামলাকারিরা পালিয়ে গেছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের আজাদ ও ছাত্রশিবির শহর সভাপতি হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই দুইপক্ষের মধ্যে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে। সন্ধ্যায় আবারও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, ছাত্রলীগ কর্মী শাহীন, মুন্না ও রাজিবুল ইসলাম কলেজের একটি সিঁড়িতে বসেছিলেন। ওই সময় ছাত্রশিবির ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। তিনি দাবি করেন, ছাত্রশিবিরের হামলায় তাদের ৩ কর্মী ছাড়াও কামরুল হাসান নামের একজন শিক্ষকও আহত হয়েছে।
শিবিরের কক্সবাজার শহর সভাপতি হারুনুর রশিদ জানান, ছাত্রলীগের ‘বহিরাগত’ কিছু ক্যাডার কলেজে ঢুকে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা চালায়। ওই সময় ছাত্রশিবির কর্মীরা বাধা দিলে তারা সংঘটিত হয়ে ছাত্রশিবির কর্মীদের উপর হামলা চালায়। তিনি দাবি করেন, ছাত্রলীগের হামলায় তাদের ৪ কর্মী আহত হয়েছেন। এরা হলেন লোকমান হাকিম, মুফিজ উদ্দিন, জাহেদুল করিম ও এমদাদ উল্লাহ।
তবে ঘটনার পর কলেজের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।