parbattanews

কক্সবাজার জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী

কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে স্থানীয় জনসাধারণকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বুধবার (২৫ মার্চ) ভোর থেকেই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক ক্যাম্প এলাকাসহ পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার পাঁচ উপজেলা ও বৃহত্তর চট্টগ্রামের আট উপজেলায় স্থানীয় জনসাধারণকে হোম হোয়েরেন্টাইন নিশ্চিত করতে কাজ করছে রামু সেনানিবাসের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের চিকিৎসাদলসহ সেনা সদস্যরা।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একাধিক গাড়ি জেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই টহল দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে রামু সেনানিবাসের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন সূত্র।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয় এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ১৩ উপজেলার স্থানসমূহ সেনাবাহিনীর সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

রামু সেনানিবাসের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন সূত্র জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকেই সেনাবাহিনী টহল কার্যক্রম শুরু করেছে। কোনো জায়গায় বেশি লোকজন যেন সমবেত হতে না পারে, সবাই যেন নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে এবং যথাযথভাবে সরকারি নির্দেশনাসমূহ মেনে চলে সেনাবাহিনী এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করবে।

প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।

এছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক ক্যাম্প এলাকায় সেনাবাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক নতুন চেক্ পোস্ট স্থাপন ও টহল কার্যক্রমের পরিধি বহুগুনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে বহিরাগতদের চলাচল।

জানা গেছে, বুধবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর থেকেই সাধারণ মানুষের বাহিরে আসার প্রবণতা কমে এসেছে। রাস্তাঘাটে খুব কম সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।

অনেক এলাকা প্রায় জনমানবশূন্য। সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলোও জনমানব শূন্য অবস্থায় দেখা গেছে। জেলার রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে। সেনাসদস্যরা মাইকিং করে, লিফলেট বিতরণ করে এবং প্রেষণার মাধ্যমে বাহিরে অবস্থানরত লোকদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন।

Exit mobile version