parbattanews

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে ঈদগাঁহ-এ সড়ক অবরোধ

কক্সবাজার সদরের জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মুহুর্তেই বৃহত্তর ঈদগাঁহ-এ বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করায় উভয় পাশে শতশত যান আটকা পড়ে। পুলিশ চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে হিমশিম খেতে হয়।

এদিকে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদের উপর সন্ত্রাসী হামলার সংবাদ মুহুর্তেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে বিক্ষুব্ধ ঈদগাঁহ, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ ও আশপাশের এলাকার হাজারো জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিল ঈদগাঁহ বাজার, ঈদগাঁহ বাসস্টেশন প্রদক্ষিণ করে কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে।

বিকাল ৫টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। পরে কক্সবাজার পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এসময় সড়কের উভয় পাশে শতশত গাড়ি আটকা পড়ে। এতে যাত্রী ও জনগণকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

এসময় সড়কের উপর বিক্ষুদ্ধ জনতা সমাবেশ করে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা দেয়। নয়ত পুরো কক্সবাজার অচলের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

উল্লেখ্য, একই দিন রবিবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কক্সবাজার আগমনকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুমু সরওয়ার কমল’সহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অপেক্ষমান ছিল।

সাংসদ কমলের নেতৃত্বে থাকা নেতাকর্মীদের দলে জালালাবাদ চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদসহ সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর হকও ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই সময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত অবস্থায় প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে রাশেদ ও মিজানের উপর হামলা চালায় বলে দাবি করে। এতে চেয়ারম্যান রাশেদ গুরুতর আহত হয়ে রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

Exit mobile version