কক্সবাজার বায়তুশ শরফে ফাতিহায়ে ইয়াজ দাহুম শুরু

fec-image

কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে দুইদিন ব্যাপী (ফাতেহা-এ-ইয়াজদহুম) ইছালে ছওয়াব মাহফিল উপলক্ষে চলছে রাতদিন প্রস্তুতি। দুই দিনের এই মাহফিল আজ বাদ আসর শুরু হচ্ছে। আগামীকাল সকালে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।

ইতোমধ্যে বায়তুশ শরফ এর প্রাণ পুরুষ পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা আব্দুল হাই নদবী কক্সবাজার বায়তুশ শরফে পৌঁছে মাহফিলের আয়োজন ও প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন। তিনি আজ দুপুরে বায়তুশ শরফ মসজিদে খতমে বোখারী অনুষ্ঠানে যোগদান করে আল্লা কুতুব উদ্দিন আদর্শ দাখিল মাদরাসা ও চক্ষু হাসপাতালের বর্ধিত ভবনের ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন।

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আহসান সাঈদ।

বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স এই এলাকার বৃহত্তম ধর্মীয় ও মানব কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। ১৯৭১ সালে বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার আধ্যাত্মিক সাধক প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক পীর-এ কামেল শাহ্ ‘সূফী’ হযরত মাওলানা আব্দুল জব্বার (রা.) প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কাজের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা, এতিম শিক্ষা ও পূনর্বাসন, কোরআন হিফজ ও চর্চা, মাদ্রাসা শিক্ষা, সাধারণ শিক্ষা, গণপাঠাগারের মাধ্যমে বই পড়া ও জ্ঞান চর্চা, যুগোপযোগী বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা, দুঃস্থ, বিধবা, অসহায় মানুষের বিভিন্নমুখী সেবার মাধ্যমে এই এলাকার ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বায়তুশ শরফ একটি ধর্মীয় গোঁড়ামী মুক্ত অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এটি সম্পূর্ণ শিরক, বেদাত মুক্ত পীর আওলিয়া কর্তৃক  পরিচালিত। ধর্মীয় কাজের পাশাপাশি মানব কল্যাণই এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য এবং কোরআন ও হাদিসের শাশ্বত মর্মবাণীর আলোকে এই মহান প্রতিষ্ঠান পরিচালিত।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর রবিউস সানি মাসের ১০তারিখ হযরত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রা:) এর ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে ইছালে ছওয়াব (ফাতেহা-এ-ইয়াজদহুম) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই দ্বীনি মাহফিলে খতমে কোরআন, খতমে বোখারী, দেশ বরেণ্য আলেমিদ্বীনগণের গুরত্বপূর্ণ আলোচনা, জিকির, তাহাজ্জুদ, দুনিয়া এবং আখেরাতের শান্তি ও মুক্তির লক্ষে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিলের সমাপ্তি হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন