কক্সবাজার মাদক কারবারি রোহিঙ্গা জহিরের পরিবার দ্বারা অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার রোহিঙ্গা জহির আহমদ প্রকাশ জহির হাজী ও তার মাদক ব্যবসায়ী ছেলে মেয়েদের কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানাগেছে, রোহিঙ্গা জহিরের ছেলে ভূলো মিয়া, কামাল উদ্দিন ও মেয়ে সুমি, রোজিনা এবং তার স্ত্রীসহ সবাই মাদক পাচার ও ব্যবসার সাথ জড়িত।
গত বছর জুনে জহিরের বড় ছেলে মাদক কারবারি ভূলো মিয়া পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এর পর থেকে জহিরের অপর ছেলে কামাল উদ্দিন মাদক ব্যবসায় বেপরোয়া হয়ে উঠে। তার সাথে তার পিতা জহির, বোন সুমি, রোজিনা এবং জহিরের স্ত্রীসহ তারা গড়ে তোলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এর সাথে যুক্ত হয় সীমান্ত এলাকা, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও কক্সবাজার শহরের অনেক রাঘব বোয়াল।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা হাজী জহির কয়েক বছর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকায় আশ্রয় নেয়। এখানে বাংলাদেশী সমাজের তারা মিশে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের পুরানো অভ্যাস মাদক ব্যবসা, খুন-খারাবী ইত্যাদি তারা ভুলতে পারেনি। এখানেও তারা সে অপকর্ম শুরু করে এবং এতে তারা এগিয়ে রয়েছে।
এরা মাদক সেবন, ব্যবসা ও পাচারে বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা শহরের হোটেল-মোটেলও ঢাকা-চট্টগ্রামের মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে হাত করে দেদারসে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। মাদকের টাকায় তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলে। তাদের সাথে মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ে এলাকার অসংখ্য তরুন-যুবক ও শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাদকের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ায় বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ পাড়ি দেবার প্রহর গুনছে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে রোহিঙ্গা জহির ও তার পরিবারের সদস্যদের কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ধর্না দিতে দেখা গেছে।
জানা গেছে সম্প্রতি বিদায়ী পাসপোর্ট অপিসার আবু নাঈমের নিকট পাসপোর্ট আবেদন করে বারবার ব্যর্থ হয়। এখন নতুন পাসপোর্ট অফিসার যোগ দেয়ায় তারা একটি দালাল চক্রের সাথে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর দাবী এই রোহিঙ্গা জহিরের মাদক কারবারি ছেলে-মেয়েদেরকে গ্রেফতার করে মাদক আইনের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হোক।