কক্সবাজার শহরের ‘ডিউ ড্রপ রেস্টুরেন্ট’র বিরুদ্ধে দুর্গন্ধযুক্ত ও নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ
কক্সবাজার শহরের ‘ডিউ ড্রপ বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’ বিরুদ্ধে দুর্গন্ধযুক্ত ও নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও আয়োজক সংস্থা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা এসব খাবারের প্যাকেট খাওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় ফেলে দেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ দিনব্যাপী শুরু হওয়া ‘বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথম দিনে দুপুরে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও স্কুল থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে উক্ত ‘ডিউ ড্রপ বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’ নাম সম্বলিত প্যাকেটের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করা হয়। শিক্ষার্থীরা এসব প্যাকেট খুলে খাবারের মধ্যে দুর্গন্ধ পান। যার কারণে তারা তখনই খাবার প্যাকেট গুলো সকলের সামনে ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য, এনজিও সংস্থা ‘সিডব্লিওএফডি’ প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করছে। উক্ত এনজিও সংস্থায় খাবার প্যাকেটগুলো ‘ডিউ ড্রপ বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’ থেকে পূর্ব চুক্তি মোতাবেক সংগ্রহ করে কক্সবাজার সদর ও ঈদগাও উপজেলার ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণার্থী ও প্রশিক্ষকদের মাঝে বিতরণ করে।
প্রশিক্ষণ ভেন্যু ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন খাবার দুর্গন্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্ষোভের সাথে জানান, সরবরাহকৃত খাবার প্যাকেটের খাবারগুলো খুবই নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত ছিল। এ খাবার সরবরাহে জড়িত ‘ডিউ ড্রপ বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’ কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান প্রশিক্ষণার্থী, প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
ঘটনার পরপরই ভেন্যু প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভের সাথে এ ঘটনাটি পোস্ট দেন। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ‘ডিউ ড্রপ বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’র সঙ্গে সম্পৃক্ত হোটেল বিচওয়ে এর রিসেপশনিস্ট প্রশান্তের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাদের খাবার হোটেল থেকে সরবরাহকৃত খাবারের বিষয়ে এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এ রকম হওয়ার কথা নয়। হয়তো গরমের কারণে খাবারের মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি দেখভাল করছেন।