কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসছে মৃত ডলফিন

fec-image

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন কক্সবাজারের বিশ্বের সর্ববৃহৎ সৈকতের বেলাভূমি। সে সুবাধে উপকূলে কাছাকাছি নাচতে থাকে একদল ডলফিন। এ দৃশ্যর কয়েকদিন পরে হুমকির মূখে পড়ে ডলফিনের দল। সৈকতের কয়েকটি পয়েন্টে ভেসে এসেছে ছোট বড় কয়েকটি মৃত ডলফিন। এতে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা। তবে খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন বন ও পরিবেশবিদরা।

সরেজমিন তথ্যানুসন্ধ্যানে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট কক্সবাজারে পর্যটকদের যাওয়া আসা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। করা হয়ে লকডাউন। যার কারণে বিশের বৃহৎ সমূদ্র সৈকত জনশূন্য। সে সুযোগে সামুদ্রিক প্রাণীকূল আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে।

সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যেও অবতারণা করছে ডলফিনের নাচানাচি। এ দৃশ্যের প্রায় সপ্তাহ খানেক পরে ভেসে আসতে থাকে ছোট বড় কয়েকটি ডলফিনের মৃত দেহ। কক্সবাজারের ইনানী ও টেকনাফে শামলাপুর সৈকতে কয়েকটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।

কয়েকদিন আগে ভেসে আসা মৃত একটি ডলফিনের লেজে রশি বাঁধা ছিল। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে সেটি কোন জেলের জালে আটকা পড়েছিল। এরপর জেলেরা এটিকে পিটিয়ে মেরে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে খবর পেয়ে রেঞ্জ, বন ও মৎস্য কর্মকর্তরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজিবি স্টুডেন্টস এসোসিয়শনের সভাপতি মো. ইসহাক জানান, ডলফিনের শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

হোয়াইক্যং সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আলমগীর চৌধুরী জানান, সপ্তাহ খানেক আগেই উপকূলের কাছাকাছি ডলফিনের নাচানাচি দেখলে মুগ্ধ হয়। কিছুদিন পরে মৃত ডলফিন ভেসে আসায় মনটা খারাপ হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ হুমকিতে পড়বে বলে তার ধারণা।

কক্সবাজার আলিক নিসর্গ নেটওয়ার্ক কমিটির কোষাধ্যক্ষ হারুনর রশিদ সিকদার বলেন, ডলফিনের নাচানাচি দেখে প্রকৃত প্রেমীরা স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু শুনলাম যে, হঠাৎ করে কয়েকটি ডলফিন মারা গেছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এ পরিবেশবাদীর।

টেকনাফের হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, পশু সম্পদ কর্মকর্তার সহায়তায় শনিবার রাতে টেকনাফের শামলাপুর সৈকতে ভেসে আসা ডলফিনটির ময়নাতদন্ত শেষে সেটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে কিছুদিন আগে কক্সবাজারের কলাতলী পয়েন্টে সাগরে একদল ডলফিলকে খেলা করতে দেখা গেছে। নির্জন সাগরে ডলফিনের খেলা নিয়ে বেশ মানুষের মাঝে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হলেও একে একে মৃত ডলফিন ভেসে আসায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, করোনাভাইরাস, ডলফিন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন