parbattanews

কক্সবাজার সড়ক যেন পুকুর, যাতায়াতে চরম জনদুর্ভোগ

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনস্থ চিরিংগা জনতা মার্কেট বাঘগুজারা সড়কের হালকাকারা বটতল এলাকার একটি অংশ বর্ষা মৌসুমের শুরুতে অল্পবৃষ্টিতে পুকুরে পরিণত হয়েছে।

কয়েক মাস ধরে বৃষ্টির পানি সড়কে প্রবাহিত হওয়ায় দিনদিন পানি সড়কের উপর অংশে জমাট থাকায় বর্তমানে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। এতে যাতায়াতে চরমভাবে জনদুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার জনসাধারণ।

সড়কের এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ফলে জলাবদ্ধতা মাড়িয়ে প্রতিদিন শত শত ছোট-বড় যানবাহন চলাচলের কারণে সেখানে বেশ কটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এ অবস্থার কারণে হালকাকারা বটতল এলাকাটি বর্তমানে পুকুরে পরিণত হয়েছে। এতে ব্যহৃত হচ্ছে সবধরণের গাড়ি চলাচল। পাশাপাশি চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় অধিবাসিসহ সর্ব সাধারণ।

হালকাকারা বটতল এলাকার বাসিন্দা সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চকরিয়া উপজেলা কমিটির সদস্য জিয়াউদ্দিন বলেন, অল্পবৃষ্টির পানিতে চকরিয়া জনতা মার্কেট বাঘগুজারা সড়কের হালকাকারা বটতল এলাকার অংশটি রীতিমত পুকুরে পরিণত হয়েছে।

কয়েক মাস ধরে বৃষ্টির পানি সড়কে প্রবাহিত হচ্ছে। তার উপর বালু ভর্তি ভারী যানবাচন চলাচলের কারণে বর্তমানে সড়কটিতে একাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, সড়কের এমন দৈন্যদশা অব্যাহত থাকলেও সড়ক বিভাগের লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি মেরামতে একেবারে উদাসীন। এমনকি স্থানীয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষও রয়েছে দর্শকের ভুমিকায়।

এ অবস্থার কারণে সড়কটি দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় অধিবাসিসহ সর্বসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, একদিকে বৃষ্টির পানি, অপরদিকে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের হালকাকারা বটতল অংশটি পুকুর পরিণত হয়েছে। এতে ব্যহৃত হচ্ছে সবধরণের গাড়ি চলাচল ব্যহৃত। বেড়েছে জনদুর্ভোগ।

তিনি আরও বলেন, সড়কটি পৌরসভার ভেতরে হলেও তদারক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সে জন্য পৌরসভা চাইলেও সড়কের উন্নয়ন কোন ধরণের প্রদক্ষেপ নিতে পারছেনা।

জানতে চাইলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের চকরিয়া উপ-বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী আবু আহসান মো.আজিজুল মোস্তাফা বলেন, চকরিয়া জনতা মার্কেট বাঘগুজারা সড়কের হালকাকারা বটতল এলাকায় সড়কের একটি অংশ অল্পবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেখানে বেশ কটি গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি।

তিনি বলেন, বৃষ্টিপাত কমে আসলে কয়েকদিনের মধ্যে সড়কের ওই পয়েন্টে মেরামত কাজ শুরু করবে সড়ক বিভাগ। আশাকরি তারপর থেকে জনদুর্ভোগ বন্ধ হয়ে যাবে।

Exit mobile version