দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

কক্সবাজার-১ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন জজ আমিন

fec-image

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুযা) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ আমিনুল হক।

রবিবার (১৯ নভেম্বর) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এ সময় তার সাথে পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, আমিনুল হক ১৯৬০ সালের ৪ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বেতুয়ারকুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। এরপর বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সহকারি জজ হিসেবে বাংলাদেশ জুড়িসিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে ধাপে ধাপে সফলতা দেখিয়ে পদোন্নতি লাভ করে ৩১ বছর অত্যন্ত সুনামের সহিত চাকরি করেন। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল পরিবেশ ও আপিল আদালতের সিনিয়র জেলা জজ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরই আগে তিনি ফেনী জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মজীবন পার করেন। অবসরের পর তার মধ্যে জনসেবার একটি মনোবাসনা জাগ্রত হয়। একজন যোগ্য পিতার উত্তরসরী হিসেবে তিনি জনগণের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান। অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ আমিনুল হকের পিতা অবিভক্ত বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের সফল নির্বাচিত চেযারম্যান ছিলেন। চাকুরী থেকে অবসরে যাওযার পর জজ আমিনুল হক নিজ এলাকায় এসে জনগণের কাছে তার জনসেবার আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি যথেষ্ট সাড়া পান। তখন তার মধ্যে মানুষের কল্যাণে কাজ করার নতুন করে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়।

চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সিনিয়র জেলা জজ আমিনুল হক বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারে দুই জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাকে অনুপ্রাণিত করে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি সমগ্র জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করেছে। এদেশের গরীব মানুষের আশ্রয়স্থল হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। দেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া সেটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তবে দলের নীতি নির্ধারনী ফোরাম ও মনোনয়ন বোর্ড যদি আমাকে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করেন ইনশাআল্লাহ আমি মনোনয়নের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। জননেত্রীর স্বপ্ন পূরণে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হয়ে জনগণের সেবক হতে চাই। চকরিয়া-পেকুয়ার সর্বস্তরের জনগণ ও দলের নেতৃবৃন্দের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন