কক্সবাজার ও নোয়াখালীতে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু
ডেস্ক নিউজ : কক্সবাজার ও নোয়াখালীতে পৃথক বজ্রপাতে ছয়জন মারা গেছে। সোমবার দুপুর থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজারে যারা মারা গেছেন, তারা হলেন- মহেশখালী উপজেলায় আজিজুল হক (৩৮), বাবুল (৩২), কুতুবদিয়া উপজেলায় নুরুল ইসলাম (৩০) ও সদর উপজেলায় শাকিব বজ্রপাতে নিহত হন।
এদিকে নোয়াখালীতে আলী আহম্মদ (৫০) ও সাফিয়া খাতুন রহিমা (৩৫) মারা যান।
কক্সবাজার জেলায় বজ্রপাতে রাত সাড়ে ৭টার দিকে মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের সাপমারার ডেইল গ্রামের ছগির আহমদের পুত্র আজিজুল হক (৩৮) এবং একই এলাকার সালেহ আহমদের পুত্র বাবুল (৩২) নিহত হন। অন্যদিকে রাত ৭টায় কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের নুরুল হুদার পুত্র নুরুল ইসলাম (৩০) বজ্রপাতে নিহত হন।
অপরদিকে প্রচন্ড বাতাসে টিন পড়ে বাসস্টেশনে মুরশেদুর রহমান শাকিব নামে এক স্কুল ছাত্র গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শাকিব ইসলামাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শহিদুর রহমান শহিদের বড় ছেলে।
তাছাড়া অতি বর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ও ফসলাদির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের চরবাইজিদ গ্রামে দুপুরে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বজ্রপাতে আলী আহম্মদ (৫০) ও সাফিয়া খাতুন রহিমা (৩৫) নামে দুজন মারা যান। এ সময় বজ্রপাতে আরো দুই মেয়ে গুরুতর আহত হয়।
একই সময় বজ্রপাতে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের বিরাহীমপুরের জুগিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ইয়াসমিন আক্তার (১৬) এবং ইসরাত জাহান সাথী (১৭) নামে দুজন আহত হয়েছে।
এদিকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে চরজব্বর, পশ্চিম চরজব্বর, চরপানাউল্যাহ ও আটকপালিয়া গ্রামে আঘাত হানে। মাত্র ২ মিনিটে লন্ডভন্ড হয়ে যায় এ চার গ্রাম। এতে ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপা পড়ে ও গাছের ডালপালার আঘাতে আহত হয়েছ অন্তত ৩৫ জন।
রাত ৯টায় সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান আনম খায়রুল আলম সেলিম ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হতাহতদের সাহায্যার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।