“রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর দলের ছুরিকাঘাতে একই পরিবারের একজন নিহত ও অন্যজন গুরুত্ব আহত হয়েছেন”

কচ্ছপিয়াতে রোহিঙ্গার ছুরিকাঘাতে হতাহত-২

fec-image

 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ফাক্রির কাটা তুলাতলী মুরাকাচা গ্রামে ইফতারের আগমুহূর্তে আশ্রিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর দলের ছুরিকাঘাতে একই পরিবারের একজন নিহত ও অন্যজন গুরুত্ব আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তি হলেন, ওই এলাকার মৃত আলি হোসেনের ছেলে মো. আবু তালেব প্রকাশ আবু (৫৬)। আহত অন্যজন তার (নিহতের) জামাতা, আবদুল খালেকের ছেলে, জয়নাল আবেদীন (৩০)।

১ জুন (শনিবার) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, পুকুরে গোসল করা নিয়ে কথা কাটাকাটির বিষয়কে কেন্দ্র করে একই এলাকার আশ্রিত রোহিঙ্গা পরিবার গুরা মিয়ার ছেলে জমির উদ্দিন (৩৫), মনির উদ্দিন (৩০) হুমায়রা বেগম, আনোয়ারা বেগম, ফাতেমা বেগম ও খালেচা বেগম সহ মিলে ধারালো ছুরা দিয়ে নিহতের পেটে ও বুকে উপর্যপুরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আবুর স্ত্রীর ভাই আবদুল খালেক জানান, তার বোন জামাইকে ওই বার্মাইয়া সন্ত্রাসীরা হত্যা করে স্থানীয় ৫ নং ওয়ার্ড়ের মেম্বার নুরুল আবছারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। আর আবছার মেম্বার হাসপাতালে এসে আবু মারা গেছে দেখে ওই ঘাতকদের ফোন করেন এবং তার বাড়িতে পালিয়ে যেতে বলে হাসপাতাল ত্যাগ করেন বলে অভিযোগ করেন খালেক।

তিনি আরো জানান, এর আগে তারা লোকজন নিয়ে ঘাতকদের ধরতে আবছার মেম্বারের বাড়িতে গেলে, সে (মেম্বার) উল্টো তাদের (নিহতের স্বজন) কে হুমকি ধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।

এই ঘটনার খবর পেয়ে গর্জনিয়া ফাঁড়ির আইসি মো. আবছারের নেতৃত্বে এসআই আনোয়ার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে পুলিশ নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতাল থেকে লাশ ময়না তদন্তেরর জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

গর্জনিয়া পুলিশের আইসি পরিদর্শক মো. আবছার জানান, এই ব্যাপারে তদন্ত চলছে, ঘাতকদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে শবেকদরের রাতে এমন ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সচেতন মহল এই ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্থি দাবি করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন