করোনা সচেতনতা নিয়ে ডিসির হস্তক্ষেপ চাওয়ায় সাংবাদিককে মোবাইলে হুমকি, থানায় জিডি
সম্প্রতি রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নে করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকের পা কেটে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় হুমকির শিকার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও তরুণ সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুন) রামু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
থানায় দায়ের করা জিডি সূত্রে জানা গেছে, রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এক নারী সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এই মৃত্যু ঘটনার পরও ছেলে জাহেদ সিকদার (৪৪) সরকারি নির্দেশনার লকডাউন না মেনে এলাকার সর্বত্র বিচরণ করে আসছিলেন। যার কারনে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা আতংক দেখা দেয়।
এদিকে এলাকার মানুষের ভীতি নিয়ে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও তরুণ সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন জাহেদ সিকদার। তিনি সোমবার (১৫জুন) রাত ৮টার দিকে নিজ ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে সাংবাদিক হাফিজকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন। এক পর্যায়ে পা কেটে নেওয়ার হুমকি দেন।
এই বিষয়ে সাংবাদিক হাফিজ জানান- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রত্যেকের আছে। আর এলাকার মানুষকে নিরাপদ রাখা সচেতন নাগরিকদের দায়িত্ব।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার প্রচারে কারো মানহানি হলে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন কিন্তু এভাবে অশ্লীল ভাষায় হুমকি-ধমকি খুবই দু:খজনক। এমন আচরণ কেবল সন্ত্রাসীরাই করতে পারেন। এই কারনে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান।
অন্যদিকে সচেতনতামূলক প্রচারকে কেন্দ্রকে হুমকির ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এর নিন্দা জানিয়েছেন।
এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান- করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়া থেকে সাংবাদিক হাফিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম‘সহ নানাভাবে এলাকার মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে আসছেন।
এই সচেতনতা প্রশাসনের জন্য সহায়ক। কিন্তু সম্প্রতি তাকে হুমকির ঘটনা দু:খজনক বলে মত দেন তারা।