parbattanews

করোনার উপসর্গ নিয়ে পানছড়ি ইপসা অফিসে লুকোচুরি খেলা

পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের নিচেই বেসরকারি এনজিও সংস্থা ইপসা’র ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের অফিস। করোনার মহামারীতে লকডাউনেও মোটরসাইকেল যোগে চট্টগ্রাম থেকে রাতের অন্ধকারে পানছড়িতে আসা যাওয়া ছিল তাদের নিত্য রুটিন।

চট্টগ্রাম থেকে পানছড়িতে এসেই স্থানীয় কর্মীদের ডেকে বসতো আলোচনায়। মানা হতোনা সামাজিক নিরাপদ দুরত্ব। লকডাউন কিছুটা স্থিতি হলে ম্যানেজার‘সহ কয়েক কর্মকর্তা ছুটে আসে চট্টগ্রাম থেকে পানছড়িতে। এরি মাঝে ক্রেডিট অফিসার নুর হোসেনের করোনা উপসর্গ দেখা দেয়।

অফিস কর্তৃপক্ষ পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুমেন চাকমার সাথে যোগাযোগ করলে নুর হোসেনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে নমুনা দিতে পরামর্শ দেন। কিন্তু এসব পরামর্শকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে ইপসার ম্যানেজার নুরুল হক।

ডাক্তারের পরামর্শ মানা তো দুরের কথা বরং তাকে পাঠানো হয় পশ্চিম মোল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ঋণের টাকা উত্তোলনে। প্রতিকুল পরিবেশ দেখে ম্যানেজার নুরুল হক মায়ের অসুস্থতার বায়না দিয়ে বুধবার(৩ জুন) সকালে নুর হোসেনকে দশ দিনের ছুটি দিয়ে পাঠিয়ে দেয় চট্টগ্রামস্থ নিজ বাড়ি বাঁশখালিতে। এ নিয়ে ইপসায় কর্মরত স্থানীয়দের মনে কাজ করছে নানান ভীতি।

অন্যদিকে চিন্তা মুখ খুললেই থাকবেনা চাকুরী। ইপসার ম্যানেজার এ প্রতিবেদককে জানায়, তাকে আলাদা করে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। অথচ সারাদিন ঋণের টাকা উত্তোলন শেষে অফিশিয়াল কাজ ও পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কথা বলতেও তাকে দেখা গেছে।

পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুমেন চাকমা জানান, আমার সাথে তার উপসর্গ নিয়ে কথা বলার পর আমি কোয়ারেন্টিনে থেকে নমুনা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এরপর তারা কি করেছে তা আর জানা হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. অনুতোষ চাকমা জানান, ডা. সুমেন আমার সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করেছে। ইপসার এ ধরণের কাজ করা মানেই অন্য জনের সর্বনাশ করা। ইপসা ম্যানেজারের এ ধরণের দায়সারা কাজ করাটা ঠিক হয়নি। নুর আলমের নমুনা পরীক্ষা প্রথমেই দরকার। তার ফলাফল না আসা পর্যন্ত ইপসার সবাইকে আইশোলেশনে থাকার জন্য সুমেন চাকমার মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

করোনার উপসর্গ নিয়ে ইপসার এ ধরণের লুকোচুরি পানছড়িবাসীর জন্য সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে বলেও অনেকেই মতামত ব্যক্ত করেন।

এ ব্যাপারে ইপসা অফিসে কর্মরতদের কোয়ারেন্টিনে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা জরুরি বলে অভিজ্ঞ মহলের দাবি।

Exit mobile version