parbattanews

করোনায় আক্রান্ত নারী দলের দুই ক্রিকেটার

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করে গত ১ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ছিলেন ৫ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। আজ সোমবার জানা গেছে, দুজন খেলোয়াড়ের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যদিও আজ (সোমবার) করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়নি মেয়েদের। দেশে ফিরে রাজধানীর একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তারা। ৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে আজ নিজ নিজ বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাদের। তবে দেশে ফিরে করা প্রথম পরীক্ষাতে দুজনের করোনা পজিটিভ হয়। যা এতদিন গোপন রেখেছিল বিসিবি। কোন দুজন ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তা অবশ্য এখনো জানানো হয়নি।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রনের’ কারণে স্থগিত হয়ে যায় জিম্বাবুয়েতে মেয়েদের বিশ্বকাপ বাছাই। যেখানে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকায় বিশ্বকাপে পা রেখেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আগামী বছর নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। সেখানে টাইগ্রেসরা খেলবে প্রথমবারের মতো।

ওমিক্রণের কারণে জিম্বাবুয়ে থেকে নারী ক্রিকেটারদের ঢাকায় ফিরতে হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরে। দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলে উৎপত্তি হয় করোনার এই নতুন এই ধরনের। যেহেতু বাছাইপর্ব জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত হয়েছে, এজন্য আক্রান্ত হওয়া নারী ক্রিকেটার দুজনের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া যায় কি না সেটি পরীক্ষা করা হবে।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে নভেম্বরের শুরুতে জিম্বাবুয়ে গিয়েছিল বাঘিনীরা। সেখানে বাছাইপর্ব খেলতে নামার আগে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি একদিনের সিরিজে অংশ নেয় নারীরা। সেই সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ২০২২ একদিনের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বটাও দাপটের সাথেই শুরু করে বাংলাদেশ দল।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল পাকিস্তানকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয় পায় সালমা খাতুনরা। যদিও পরের ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে হার কিছুটা কঠিন করে দেয় বাংলাদেশ দলের কোয়ালিফাই করার রাস্তাটা। তবে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে গেলে নিয়ম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পায় বাংলাদেশ নারী দল।

Exit mobile version