parbattanews

করোনায় জেলায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে পানছড়ি: খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন

খাগড়াছড়ির জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও পানছড়ির অবস্থান খুব ভালো। পানছড়িকে এখন গ্রীন জোন বলা যায়।

প্রশাসন সদা সতর্ক থেকে ভালো কাজ করেছে বলেই জেলার সবচেয়ে ভালো অবস্থানটি পানছড়ির। এটাকে ধরে রাখেতে হবে। মুঠোফোনে আলাপকালে পানছড়িবাসীর জন্য এমন স্ব:স্তির খবর শুনালেন খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন ডা: নুপুর কান্তি দাশ।

জানা যায়, পানছড়িতে এই পর্যন্ত ২০৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মাঝে ১৪৫ টির ফলাফল আসে নেগেটিভ। ৬ জনের পজেটিভ ও ৫৮ জনের রিপোর্ট এখন আসেনি। তবে শনাক্ত হওয়া ৬জনের মাঝে ৫জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে বাকী একজনের ফলাফল না এলেও সে এখন সম্পুর্ন সুস্থ, শুধু ফলাফলের অপেক্ষায়। তার ফলাফল এলেই পানছড়ি আপাতত: করোনামুক্ত।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: অনুতোষ চাকমা জানায়, উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রসাশন, পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যান, যুব রেড ক্রিসেন্ট ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা ছিল আন্তরিক।

করোনারোগীদের সময়মতো আইসোলেশনে এনে যত্ন নেয়া, লকডাউন ও বহিরাগতদের যথাসময়ে কোয়ারেন্টিনে আনার ফলেই পানছড়ি অদ্যবধি পর্যন্ত ভালো রয়েছে। তবে এটাকে ধরে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা, বার বার হাত ধোঁয়ার অভ্যাস করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, আত্মীয়-স্বজন বা পাড়া প্রতিবেশী রেড জোন বা বাহিরের জেলা থেকে এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা ও জ্বর, সর্দি, কাঁশি, গলাব্যাথা হলে অবশ্যই নমুনা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করলেই আমাদের উপজেলাকে করোনামুক্ত রাখা সম্ভব।

পানছড়ির সর্বস্তরের জনগনকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জ মো: দুলাল হোসেনের বিরামহীন সেবার কথা তিনি বার বার তুলে ধরেন।

Exit mobile version