parbattanews

করোনায় বিচ্ছিন্ন কুতুবদিয়া দ্বীপ

করোনার বিস্তার রোধে কুতুবদিয়া থেকে মূল ভূখন্ডে পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নিত্যপণ্য পরিবহণ ছাড়া সকল প্রকার যাত্রীপারাপারে নৌযান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। ফলে কুতুবদিয়া-চট্টগ্রাম নৌচলাচল, কক্সবাজার নৌরুট ও উপজেলার বড়ঘোপ স্টিমার ঘাট -মগনামা, দরবার জেটি ঘাট-মগনামা, সতরুদ্দিন ও আকবরবলী জেটিঘাট-ছনুয়া এবং আলী আকবর ডেইল–উজানটিয়া, মাতারবাড়ি জেটিঘাট সহ ৫টি জেটি ঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। এর আগে করোনা মোকাবেলায় জনসাধারণকে সচেতনা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে দোকান-পাট বন্ধ রাখা হয়েছে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই।

উপজেলায় নিত্যপণ্য সহ অনেক কিছুই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার নির্ভশীল। দ্বীপ উপজেলায় অভ্যন্তরীন পরিবহণ চলাচল করলেও অনেকটা সীমিত হয়ে আসছে। প্রশাসন চেষ্টা করে যাচ্ছেন করোনা মোকাবেলায় করণীয় বিষয়গুলো বাস্তবায়নে। পারাপার বন্ধ থাকায় দ্রব্যমূল্য বাড়তে শুরু করেছে। চালের দাম প্রতি বস্তায় বেড়েছে ৫/৬ শ টাকা। সবজির বাজারে করোনার প্রভাব শুরু হয়েছে। ২০ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ঢেঁড়শ কেজি ১০০ টাকায় উঠেছে। এ ভাবেই বাড়তে থাকবে দ্বীপের বাজারদর। বাজারে প্রশাসনের নজরদারি আরো বাড়ানোর দাবি জানান ক্রেতারা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর বলেন, করোনার বিস্তার রোধে সতর্কতা বজায় রাখতে বুধবার থেকে দ্বীপের বাহিরে যাতায়াত ঘাটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র নিত্যপন্য পারাপারে নৌযান অনুমতি সাপেক্ষে চলাচল করতে পারবে। বহিরাগত যাতে দ্বীপে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ রয়েছে।

দ্বীপের অভ্যন্তরীন গণপরিবহণ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিনা-এটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। জেটিঘাটগুলো বন্ধ থাকলে বহিরাগত যাতায়াত অনেকটা কমে যাবে। পুলিশ, আনসার ছাড়াও যতদূর সম্ভব জনগণকে বাড়িতে অবস্থানে নৌবাহিনী টহল দেবে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণু নাশক বা হাত ধোয়ার জন্য ফিল্টার দেয়া হচ্ছে। এর পরেও পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবেও বলে তিনি জানান।

Exit mobile version