parbattanews

করোনা সংকটে নাইক্ষ্যংছড়িতে একমাত্র তৎপর সেভ দ্যা চিলড্রেন

মহামারী কোবিড ১৯ পরিস্থিতিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বেসরকারি এনজিওগুলোর মধ্যে একমাত্র সেভ দ্যা চিলড্রেনের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ৩৬ স্থানে হ্যান্ড ওয়াশিং পয়েন্ট স্থাপনসহ জীবানু নাশক ৪টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন, ২৫০ ব্যাগ হাইজিং কিট, সাবান, ব্লিসিন পাউডার, মাস্ক, গ্লাভস, বিতরণ করেছে আর্ন্তজাতিক এই সংস্থাটি। ইউএসএইড এর অর্থায়নে ও লোকাল পার্টনার এনজিও গ্রিনহিলের সহযোগিতায় আশ্রয়ন কেন্দ্র শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে এই কর্মযজ্ঞ চালিয়ে আসছে তারা।

সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বার বার হাত ধোয়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই পরিস্থিতিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাচঁটি ইউনিয়ন পরিষদ, থানা, বাজারসহ জনবহুল এলাকায় সর্বসাধারণের জন্য পানির ট্যাংকসহ ৩৬টি হ্যান্ড ওয়াশিং পয়েন্ট স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে সংস্থার দু’জন প্রকৌশলী।

এই কাজের ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৩মে) নাইক্ষ্যংছড়িতে করোনাকালের জন্য অস্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে সেন্টার (হাজী এম এ কালাম ডিগ্রি কলেজ) এর সামনে হ্যান্ড ওয়াশিং পয়েন্ট উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি। এসময় কলেজের অধ্যক্ষ ও.আ.ম রফিকুল ইসলাম ও সংস্থার কক্সবাজার অফিসের প্রকৌশলী নুরুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

এনজিওটির কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ বলেছেন, প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার প্রানপন চেষ্টা করছেন জনগণকে নিরাপদ রাখতে। সরকারের পাশাপাশি নাইক্ষ্যংছড়িতে এনজিও সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেনও প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। এভাবে অন্যান্য এনজিওদেরও মানবিক কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

জানতে চাইলে সংস্থাটির কক্সবাজার অঞ্চলের ম্যানেজার ফোরকানুল হক বলেন- করোনা পরিস্থিতির পর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় জনস্বার্থে হ্যান্ড ওয়াশিং পয়েন্ট, হাইজিং কিট বিতরণ, সচেতনতা মূলক মাইকিং, লিফলেট-পোস্টার বিতরণ ও বিলবোর্ড স্থাপনসহ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক কাজ করে যাচ্ছে সেভ দ্যা চিলড্রেন। আগামীতে এই উপজেলার স্থানীয় জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজের পরিধি আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, করোনা সংকটকালে হ্যান্ড ওয়াশিং পয়েন্ট স্থাপন, সাবান বা হাইজিং কিটের দ্বারা মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এছাড়া পাঁচ ইউনিয়নে স্থায়ী বেসিন স্থাপনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকা ও প্রতিষ্ঠানের মানুষ হাত ধুতে উৎসাহিত হবে এবং নিয়মিত হাত ধুয়া অভ্যাসে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Exit mobile version